ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ… যুক্তরাজ্যের স্লাও শহরে ‘আড্ডা’-র ৪ দিনের দুর্গাপুজো সিঁদুরখেলায় পরিসমাপ্তি
সম্পূর্ণ ঘরোয়া আমেজে প্রায় পারিবারিক হয়ে ওঠে মণ্ডপের দুর্গাপুজো। যুক্তরাজ্যের স্লাও শহরে প্রায় ৩২টি পরিবার মিলেমিশে একটানা চারদিন ধরে মেতে থাকেন আরাধনায় ও ব্যবস্থাপনায়।
২০২২-এ লন্ডনের ‘আড্ডা’ সংস্থার এক দশক পূর্তি, তাই এই বছরে এই সংস্থার দুর্গাপুজো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
দশ বছর পূর্তিতে এসে ২০২২-এ ‘আড্ডা’-র দুর্গাপুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ দেবীপ্রতিমায় সাবেকিয়ানার সাথে আধুনিকতার মেলবন্ধন।
‘আড্ডা’ সংগঠন যুক্তরাজ্যের স্লাও শহরের অন্যতম বৃহৎ দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা। যে পুজো আয়োজিত হয় প্রখ্যাত স্লাও ক্রিকেট ক্লাবে।
প্রতিবছর পুজোয় জনসমাগম হয় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার। সম্পূর্ণ ঘরোয়া আমেজে প্রায় পারিবারিক হয়ে ওঠে মণ্ডপের দুর্গাপুজো।
প্রায় ৩২টি পরিবার মিলেমিশে একটানা চারদিন ধরে মেতে থাকেন আরাধনায় ও ব্যবস্থাপনায়। পুজোর মণ্ডপ ও অন্দর সজ্জায় থাকেন ‘আড্ডা’-র মহিলারা।
মহিলাদের পাশাপাশি পুজোর ক’টা দিন রান্নাবান্না আর দুর্গাপুজোর অন্যান্য আয়োজনের কাজে সমানভাবে অংশ নেন পুরুষরাও।
ইউরোপে প্রাচ্যের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন আর মুক্ত প্রাঙ্গন সম্মিলিত আড্ডার জন্যেও ‘আড্ডা’ সংগঠনের খ্যাতি রয়েছে বিস্তর।
আয়োজন আর মেলবন্ধনের নিরিখে যুক্তরাজ্যের ‘আড্ডা’-র দুর্গাপুজোকে অনেকে ‘বিলেতের ম্যাডক্স স্ক্যোয়ার’-ও বলে থাকেন।
এবারের দুর্গাপুজোতে দশ বছর পালন করতে কলকাতা থেকেও যোগদান করেছেন বহু গণ্যমান্য শিল্পীরা। তাই আড্ডার মেজাজে বড়দের সঙ্গে নতুন নতুন জামাকাপড়ে মেতে উঠেছেন সংগঠনের খুদে সদস্যরাও।