বিয়ের এতবছর পরেও শ্বশুর বাড়িতে পা রাখতে পারেননি ড্রিম গার্ল! জন্মদিনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৬ অক্টোবর ৭৪ বছর বয়সে পা রাখলেন বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী। জন্মদিনের এই পূর্ণলগ্নে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল ড্রিম গার্লের বৈবাহিক জীবনের নানা অজানা কথা যা শুনলে অবাক হবেন আপনিও। 
 

Rimpy Ghosh | Published : Oct 16, 2022 10:14 AM IST
17
বিয়ের এতবছর পরেও শ্বশুর বাড়িতে পা রাখতে পারেননি ড্রিম গার্ল! জন্মদিনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বলিউডের ড্রিম গার্ল, কে বলুন তো? হ্যাঁ ঠিকই আন্দাজ করেছেন, ড্রিম গার্ল হলেন নব্বই দশকের সেই প্রখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী। প্রবীণ অভিনেত্রী অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ ও বটে। প্রখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনী ১৬ অক্টোবর পা রাখলেন ৭৪ এ। ১৯৪৮ সালের ১৬ অক্টোবর তামিলনাড়ুর আম্মানকুডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হেমা মালিনী। ১৯৬৩ সালে সিনে জগতে প্রথম পা রাখেন তিনি। কর্মসূত্রে পরিচয় হয় ধর্মেন্দ্রের সাথে আর তারপরেই বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। ড্রিম গার্লের এটি প্রথম বিয়ে হলেও ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী হিসেবে তিনি দ্বিতীয়। ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর, কিন্তু তার সম্পর্কে হেমা কী ভাবেন জানেন? এছাড়াও আপনি কি জানেন বিয়ের এত বছর পরেও ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে পা রাখেননি হেমা মালিনী যেখানে দুজনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিট। 

27

লেখক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের 'হেমা মালিনী: বিয়ন্ড ড্রিম গার্ল' বইটিতে অভিনেত্রীর বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে উঠে এসেছে নানা অজানা তথ্য।  বই অনুসারে, ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করার আগে হেমা মালিনী বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ কৌরের সাথে দেখা করেছিলেন।  কিন্তু বিয়ের পর আর দেখা হয়নি দুজনের।

37

বইটিতে হেমাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, "আমি কাউকে বিরক্ত করতে চাইনি। ধরম জি আমার মেয়েদের জন্য যা করেছেন তাতে আমি খুব খুশি। তিনি একজন বাবার ভূমিকা খুব ভালোভাবে পালন করেছেন। আজ আমি কাজ করছি এবং সক্ষম হয়েছি, নিজের যত্ন নিচ্ছি, আমার জীবনকে শিল্প এবং সংস্কৃতির সাথে যুক্ত করেছি এসব কিছুই হত না যদি পরিস্থিতি একটু অন্যরকম হত।"

47

এই বইয়ে হেমা সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে যে প্রকাশ কৌরের প্রতি তাঁর অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনি বলেছেন, "আমি কখনই প্রকাশের কথা বলিনি। তবে আমি তাকে অনেক সম্মান করি। আমার মেয়েরাও ধরমজির পরিবারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল।"

57

তবে আশ্চর্য বিষয় এটাই যে হেমা বিয়ের পর আর ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে যাননি।  তার পরিবার থেকে শুধুমাত্র তার মেয়ে এশা দেওল ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে গেছেন।  রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের বই অনুসারে, আরও জানা গিয়েছে ধর্মেন্দ্রর বাড়ি থেকে হেমা মালিনীর বাংলো মাত্র ৫ মিনিটের দূরত্বে কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে এশার সময় লেগেছে ৩৪ বছর।

67

১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করেন এশা দেওল, তবুও যাওয়া হয়নি নিজের বাড়িতে, ২০১৫ সালে যখন তার কাকা অর্থাৎ অভয় দেওলের বাবা অজিত সিং দেওল অসুস্থ ছিলেন তখন তার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে তিনি পৌঁছেছিলেন ধর্মেন্দ্রর বাড়ি। এশা ও তার বোন অহনাকে খুব ভালবাসত অজিত। জানা গিয়েছে সানি দেওল এশাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সেখানে  প্রকাশ কৌরের সাথে দেখা করে তাকে প্রণাম ও করেন এশা। প্রকাশ তাকে আশীর্বাদ করে সেখান থেকে চলে যায়।

77

১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর ধর্মেন্দ্র ও হেমা বিয়ে করেন।  এ সময় ধর্মেন্দ্রর নাম রাখা হয় দিলওয়ার খান এবং হেমার নাম রাখা হয় আয়েশা বিবি।  ধর্মেন্দ্র এবং হেমা ১৯৮০ সালের ২মে পুনরায় বিয়ে করেন এবং তাদের মূল ধর্মে ফিরে আসেন সকলে তাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে। 

আরও পড়ুন

মথুরা থেকে ভোটে দাঁড়াবেন কঙ্গনা? শুনে কী বলেন বিজেপির সাংসদ অভিনেত্রী হেমা মালিনী

শরীরী মেলামেশায় নয়, এই টিপসেই দাম্পত্য টিকিয়ে রেখেছেন হেমা মালিনী, ফাঁস SECRET

কেন ধর্মেন্দ্রর থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হেমা, মুখ খুললেন 'ড্রিম গার্ল'

হেমার সঙ্গে পরকীয়া, ভাঙছে পরিবার, রোজ ববি দেওলের হাতে মার খেতেন ধর্মেন্ত্র, ববিকে সামলান সলমন

 

 

Read more Photos on
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos