বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে উত্তম কুমারের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা। সেই সময়ের বাংলা সিনেমার যুগ স্বর্ণযুগ নামে পরিচিত। বাংলার পাশপাশি তিনি হিন্দি ছবিতেও সমানভাবে অভিনয় করেছেন। অরুন কুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুরো নাম হলেও তিনি সকলের কাছে উত্তম কুমার নামেই পরিচিত। বাংলা ছায়া-ছবিতে তাঁর এই দান সকলের কাছে চিরকাল অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
debojyoti AN | Published : Sep 3, 2019 6:44 AM IST
১৯২৬ সালের ৩ সেপেটম্বর কলকাতার আহিরীটোলাতে জন্মগ্রহণ করেন উত্তম কুমার।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোয়েঙ্কা কলেজে ভর্তি হলেও তিনি তিনি পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। এরপর তিনি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের চাকরিতে রত হন। সেই সময় তিনি থিয়েটারে যোগদান করেন।
উত্তম কুমার কেরিয়ার শুরু করেন 'দৃষ্টিদান' ছবি দিয়ে। প্রথম দিকে তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলি হিট লিস্টের তালিকাতে ছিল না।
এর পরে 'সাগরিকা', 'হারানো সুর' 'থানা থেকে আসছি', 'অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি', 'ভ্রান্তিবিলাস', 'সপ্তপদী', 'গলি থেকে রাজপথ', 'সন্ন্যাসী রাজা'-র মতো সুপারহিট ছবিগুলিতে অভিনয় করেন।
সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গেও কাজ করেন উত্তম কুমার। সত্যজিৎ রায়ের 'নায়ক', 'চিড়িয়াখানা' ছবিতেও অভিনয় করেন।
উত্তম- সুচিত্রা জুটি এখনও বাঙালীর মননে অমলিন। সুচিত্রা সেন এর সঙ্গে তিনি বেশ কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্য ছবিতে অভিনয় করেন। 'সপ্তপদী', 'হারানো সুর', 'চাওয়া-পাওয়া','সাড়ে চুয়াত্তর','ইন্দ্রাণী','শাপমোচন'-এর মতো ছবিগুলিতে অভিনয় করেন।
সেরা অভিনেতা হিসেবে তিনি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পান। ১৯৬৭ সালে তিনি প্রথম ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়াও তাঁর অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরষ্কার পেয়েছিলেন তিনি।
বাংলার পাশাপাশি তিনি হিন্দি সিনেমাতেও অভিনয় করেন তাঁর উল্লেখ্য হিন্দি সিনেমাগুলি হল 'ছোটি সি মুলাকাত', 'অমানুষ', 'আনন্দ আশ্রম', 'দুরিয়া'।
এছাড়া তিনি অল ইন্ডিয়া স্টুডিও-তে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের বদলে এক বছর চন্ডীপাঠ করেন।
১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই আচমকা তাঁর দেহাবসান ঘটে। তাঁর সেই আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিল টলিপাড়া থেকে শুরু করে তাঁর ভক্তবৃন্দরাও।