লাদাখের মাটিতে শনিবার ভারত চিন বৈঠক, দেখুন সুন্দরী লাদাখে সেনা দখলদারির ছবি
শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় লাদাখ সীমান্তে টানাপোড়েন কমাতে বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মলডোতে এই বৈঠক হবে। হট স্প্রিং ও গোগরা হাইটসে দুই দেশের সেনার অবস্থান নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়েছে দুই দেশের। সেদিকে নজর রেখেই ১২তম বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন।
হট স্প্রিং ও গোগরা হাইটসে দুই দেশের সেনার অবস্থান নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়েছে দুই দেশের। সেদিকে নজর রেখেই ১২তম বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন। কড়া বার্তা নিয়েই বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত।
দুই দেশই অনমনীয় নিজেদের অবস্থানে। তাই এই বৈঠকে আদৌও কোনও সমাধান সূত্র মিলবে কিনা, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন খোদ সামরিক বিশেষজ্ঞরাই।
তবে ভারত চাইছে গোগরা -হটস্প্রিং হাইটস থেকে যেন চিনা সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়। পূর্ব লাদাখ সেক্টরে কোনও রকম সংঘর্ষের রাস্তায় যেতে চাইছে না ভারত। চিনের সঙ্গে স্থিতাবস্থা বজায় রেখেই আলোচনা ফলপ্রসূ করতে চাইচে নয়াদিল্লি।
তবে বেজিং নিজের দুমুখো নীতি থেকে বেরিয়ে সঠিক পথে হাঁটবে কীনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ ২০২০ সালের ভারত চিন সংঘর্ষের পর একাধিকবার সামরিক ও রাজনৈতিক বৈঠক হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। তাতে লাভ বিশেষ হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ২০২০ সালের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অনেকটাই সময় লাগবে। কারণ দুই দেশের একে অপরের উপর আস্থার বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। আর সেই কারণেই আগের অবস্থায় পৌঁছাতে সময় লাগছে।
ভারত আশা করছে চিন হটস্প্রিং আর গোগরা এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। এই এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দুটি দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে ভারত।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। প্যাংগং তসো এলাকার উত্তর ও দক্ষিণ থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চিনারা এই এলাকায় স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করেছিল। কিন্তু সেনা সরিয়ে নেওয়ার পরেই সেগুলি ভেঙে ফলতে বাধ্য হয়েছে।
সেনা বাহিনীর এক প্রবীণ কর্তার কথায় যখন তাঁরা পরিকাঠামো ভেঙে ফেলতে পেরেছে তখন হটস্প্রিং আর গোগরা এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিতেও দ্বিধাগ্রস্ত হবে না।
দেপসাং এলাকার তিনটি পয়েন্টে দুই দেশের সেনা বাহিনী দীর্ঘ দিন ধরেই অবস্থান করে রয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় টহলও বন্ধ রয়েছে। চলতি বছর এপ্রিলে চুশুলে একাদশতম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেও বিষয়গুলি উত্থাপন করা হয়েছিল।
হট স্প্রিং ও গোগরা হাইটসে দুই দেশের সেনার অবস্থান নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়েছে দুই দেশের। সেদিকে নজর রেখেই ১২তম বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন।