লাদাখে লাল ফৌজের মোকাবিলায় সেনার ভরসা 'ভীষ্ম', জানুন ভারতের অন্যতম এই অস্ত্রের বিশেষত্ব

গালওয়ান নদীর উপত্যকা বরাবর একটু একটু করে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে চিনা বাহিনী। উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট ধরা পড়েছে সে ছবি। গালওয়ান নদী যেখান দিয়ে বয়ে গেছে পূর্ব লাদাখের ওই উপত্যকা বরাবরই দুই দেশের সীমানা তথা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ধরা হয়। চিনের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সমরসজ্জা দেখে কিন্তু চুপ করে বসে নেই ভারতও। চিনা গতিবিধি নজরে রাখতে কমব্যাট ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট নামিয়েছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নজরদারি তো বটেই যে কোনও টার্গেটে আঘাত হানতে ইজরায়েলি হেরন ড্রোনও তৈরি। আকাশযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে শক্তি বাড়িয়েই রেখেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। অন্যদিকে, তৈরি স্থলবাহিনীও। মুখোমুখি সংঘাতে চিনকে জোর টক্কর দিতে সীমান্তে মোতায়েন করা করেছে বিধ্বংসী টি-৯০ ট্যাঙ্ক। ভারতের অন্যতম অস্ত্র রাশিয়ার থেকে কেনা এই ট্যাঙ্কের নাম ‘ভীষ্ম’।

Asianet News Bangla | Published : Jul 1, 2020 6:00 AM IST / Updated: Jul 01 2020, 11:54 AM IST

112
লাদাখে লাল ফৌজের মোকাবিলায় সেনার  ভরসা 'ভীষ্ম', জানুন ভারতের অন্যতম এই অস্ত্রের বিশেষত্ব


১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধ ছিল বিশ্বের অন্যতম বড় ট্যাঙ্ক যুদ্ধ। এরপর থেকেই নিজেদের ট্যাঙ্কবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্য স্থির করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। 

212

২০০১ সালে রাশিয়ার থেকে কেনা হয়  টি-৯০ ট্যাঙ্ক। প্রথম ধাপে ৩১০ টি ট্যাঙ্ক কেনে ভারত। রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি টি-৯০ ট্যাঙ্ক টি৭২বি-এর আপডেটেড ভ্যারিয়ান্ট। এর অনেক ফিচারের সঙ্গেই মিল আছে তৃতীয় প্রজন্মের টি-৮০ইউ ট্যাঙ্কের সঙ্গে। বিশাল এই যুদ্ধ-ট্যাঙ্ক ১৯৭৬ সাল থেকে রুশ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

312

রাশিয়ান টি-৯০ ট্যাঙ্কের প্রযুক্তিতে অনেক বদল এনেছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। এই ট্যাঙ্ক এখন আরও বেশি শক্তিশালী ও বিধ্বংসী। ভারতে এই টি-৯০ ট্যাঙ্কের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভীষ্ম’। 

412

সূত্রের খবর, সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসনের আগে থেকেই পূর্ব লাদাখে এই শক্তিশালী ট্যাঙ্ক মোতায়েন করার কাজ চলছিল। চিনা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ার পরে এই ট্যাঙ্ক যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখছে ভারতীয় বাহিনী।

512

বিশ্বের শক্তিশালী যে যুদ্ধ-ট্যাঙ্কগুলি আছে তার মধ্যে টি-৯০ ভীষ্ম অন্যতম। যে কোনও রকম জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র বইতে পারে এই ট্যাঙ্ক। 

612

এ৪৬এম ১২৫ মিলিমিটার ট্যাঙ্ক-গান থেকে ৬০ সেকেন্ডে ৮টি সেল ছোড়া যায়। রাশিয়ার কাছ থেকে কেনার পর তাতে এক্সপ্লোসিভ রিঅ্যাক্টিভ আর্মার লাগিয়েছে ভারত। অর্থাৎ  কোনও বোমা বা বিস্ফোরক দিয়ে এই ট্যাঙ্ক উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা এখন স্বয়ংক্রিয় ভাবে রুখে দিতে পারে এই টি-৯০ ট্যাঙ্ক।

712

বিপক্ষের ট্যাঙ্ক যদি মুখোমুখি পড়ে যায়, তাহলে ৯এম১১৯এম রিফ্লেক্স অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল দিয়ে নিমেষে উড়িয়ে দিতে পারে ‘ভীষ্ম’।

812

৪৮ টন ওজনের এই ট্যাঙ্কে রয়েছে সেমি-অটোমেটিক লেজার বিম-রাইডিং গাইডেন্স। এর পাল্লা ১০০ মিটার থেকে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত। এই ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়া সেলে যে কোনও স্টিল আর্মার ট্যাঙ্কে ৯৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত ঢুকে যেতে পারে। এমনকি এর টার্গেট পয়েন্টে যদি শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টারও চলে আসে, তাহলে তাকেও নির্ভুল নিশানায় আঘাত করতে পারে টি-৯০ ভীষ্ম। 

912

অ্যান্টি-অ্যায়ারক্রাফ্ট হেভি মেশিনগানও লাগানো আছে এই ট্যাঙ্কে। এই মেশিনগান অপারেট করতে পারেন কম্যান্ডোরা। এর পাল্লা কম করেও ২ কিলোমিটার এবং সাইক্লিক অর্ডারে ঘুরিয়ে প্রতি মিলিটে ৭০০-৮০০ রাউন্ড গুলি চালানো যায়। 

1012

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য রাশিয়ান ট্যাঙ্কের থেকে ভারতীয় প্রযুক্তিতে আপডেট করা টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কে রয়েছে অটোমেটিক লোডার। অর্থাৎ এই ট্যাঙ্ক বেশিটাই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চালানো সম্ভব। দিনে ও রাতে আবহাওয়ার যে কোনও পরিস্থিতিতে এই ট্যাঙ্ক কাজ করতে সক্ষম। যে কোনও পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায় এই ট্যাঙ্ক থেকে।

1112

এই ট্যাঙ্কে রয়েছে ১০০০ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন। ৭২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটে যেতে পারে এই ট্যাঙ্ক। ৫৫০ কিলোমিটার দূরত্ব যেতে পারে অনায়াসেই। 

1212

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের থেকে ভারতীয় ট্যাঙ্কবাহিনী রণকৌশলে ও শক্তিতে অনেক বেশি এগিয়ে। চিনের হাতে আছে ৩৫০০ ট্যাঙ্ক, আর ভারতের হাতে রয়েছে প্রায় ৪২৯২টি ট্যাঙ্ক। সীমান্তে যদি সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে ভারতীয় বাহিনীর হাতে থাকা ভীষ্ম ট্যাঙ্ক চিনা সেনাদের জোর টক্কর দেবে এতে কোনও সন্দেহই নেই।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos