রোজ কলকাতার বুকে খেলে বেড়াচ্ছে কতটা বিষবায়ু, দেখে নিন পরিসংখ্যানটা
কলকাতার বায়ু দূষণের মাত্রা নিয়ে আগেই সতর্কবাণী শুনিয়েছিলেন পরিবেশবিদরা। দেখা যাচ্ছে দীপাবলির পর কলকাতার বায়ু দূষণের মাত্রা মারাত্মকরকমের বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতে এই বায়ু দূষণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চিকিৎসরাও কলকাতার বায়ু দূষণের মাত্রা থেকে রক্ষা পেতে নানা ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। ভোরে বা একদম সকালে যারা মর্নিং ওয়াক বা জগিং করতে বের হন, তাদের সে সময় বাইরে নানা বের হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Asianet News Bangla | Published : Nov 4, 2019 1:11 PM IST / Updated: Nov 04 2019, 06:49 PM IST
কেন্দ্রীয় দূষণ পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-এর যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে দেখা যাচ্ছে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতায় পিএম ১০ এবং পিএম ২.৫-এর মাত্রা বাতাসে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে যে স্ক্রিনশটটি দেখানো হয়েছে তা রবীন্দ্র সরোবর এলাকার। দেখা যাচ্ছে কীভাবে পিএম ১০ ও পিএম ২.৫-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এয়ার কোয়ালিটির মান হলুদ রঙে দেখানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ পর্ষদের এয়ার কোয়ালিটি নিয়ে যে মাপকাঠি রয়েছে তাতে এটি মডারেট। এর মানে এই মডারেট মাত্রাটি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এতে যারা শ্বাসকষ্ঠে ভোগে বা একটু-তেই সর্দি-কাশি-তে ভোগে অথবা হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে তাদের কাছে এটা বিষবায়ু।
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে বিটি রোড। এর ফলে এই এলাকাটি দূষণের অন্যতম আঁতুর ঘর। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে সব মিলিয়ে দূষণের মাত্রা ১৪২ এবং পুরোটাই হলুদ রঙের আওতায়। এখানেও পিএম ২.৫ ও পিএম ১০-এর মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
কলকাতার আরএকটি এলাকা হল ফোর্ট উইলিয়াম। এই অঞ্চলের সামনেই রয়েছে বিশাল ময়দান এবং রেসকোর্স। কিছুটা দূরেই রয়েছে গঙ্গা। কিন্তু, এই অঞ্চলের বায়ু দূষণ ভয় ধরিয়ে দেবে। কারণ এখানে পিএম ২.৫-এর অনেকটাই অংশ কমলা হয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বেঁধে দেওয়া মাপকাঠিতে এটা পুওর।
কলকাতার উপকন্ঠে রয়েছে সল্টলেক। এই অঞ্চলকে বিধাননগর হিসাবে চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ যেভাবে তথ্য মেলে ধরেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এখানেও মডারেট পরিস্থিতি রয়েছে। এখানে পিএম ২.৫, পিএম ১০-সহ অন্যান্য উপাদান-এর যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করার অবকাশ নেই।
কলকাতার অন্যতম নামি এলাকা বালিগঞ্জ। সেখানেও এয়ার কোয়ালিটির মান যথেষ্টই খারাপ। এখানকার পরিসংখ্যান-কে হলুদ বলেই দেখানো হয়েছে। এখানেও মাঝে মাঝে পিএম ২.৫-এর রঙ হলুদ থেকে কমলা হয়ে গিয়েছে।
এই স্ক্রিনশটটি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকার। যেখানে প্রচুর পরিমাণ গাছপালা রয়েছে। সর্বোপরি রয়েছে ময়দান। কিন্তু, সেখানে দেখা যাচ্ছে পিএম ২.৫ এবং পি এম ১০-এর মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি। এখানেও এয়ার কোয়ালিটি-কে মডারেট বলে গণ্য করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
কলকাতার দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর এলাকার বাতাসের মানও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ এখানেও মাত্রাতিরিক্ত বায়ু দূষণের তথ্য মিলেছে। এমনকী বহু সময় পিএম ২.৫-এর রঙ হলুদ থেকে কমলা হয়ে গিয়েছে। যার মানে বায়ু দূষণ নিয়ে চিন্তা করার দরকার আছে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেওয়া তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে কলকাতার মধ্যে এয়ার কোয়ালিটির মান কোথাও সন্তোষজনক নয়। এমনকী, প্রতি ঘণ্টায় এয়ার কোয়ালিটির মান খারাপ থেকে অতি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে কোন রঙের কি মানে- তা বোঝার সুবিধার জন্য এখানে রঙ এবং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হল।