ত্বকে ছোপ ছোপ কালচে দাগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন? কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন বুঝে উঠতে পাড়ছেন না! চিন্তার কোন কারণ নেই। উপায় আপনার হাতের মুঠোয়। ত্বক যতো তৈলাক্ত হবে, ততই কালচে ভাব বাড়বে।
সাধারণত ‘হাইপার পিগমেন্তিসন’ বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারনেই এই সমস্যা দেখা দেয়। বাজারের চলতি ক্রিম, লোশন তো অনেক ব্যাবহার করেছেন, কিন্তু কোনও ফল হায়নি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু ঘরোয়া পধুতি, যা থেকে খুব সহজেই ত্বকের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ত্বক উজ্জল করতে বেসন খুব ভালো কাজ করে। ১ চামচ হলুদ, ২ চামচ বেসন ও হাঁফ চামচ দুধ দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে মাখুন। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন। টানা এক সপ্তাহ এই পধুতি অবলম্বন করলে সুফল মিলবে।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জল সমপরিমাণে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবারে ত্বকের কালচে দাগযুক্ত স্থানে ওই পেস্ট ব্যাবহার করুণ। এতে ত্বকের কালচে ভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি ঠোঁটের চারপাশের শুষ্কতাও দূর হবে। তবে মিশ্রণটি অধিক সময় রাখতে হবে।
আলুর রসে থাকে প্রাকিতিক ব্লিচিং যা কালো দাগ দূর করে। আলুর রস ভালো করে ত্বকে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুণ। এর পর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন। এতে খুব সহজেই ত্বকের কালচে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
২ চামচ লেবুর রস ও ২ চামচ মধু দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুণ। এবারে দাগের উপর মিশ্রণটি মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুণ। এর পর তা ধুয়ে নিন। এতে কালচে দাগ দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জলতাও ফিরে আসবে।
ওটমিলে আছে অ্যান্টি অক্সিডেনট যা কালচে দাগ কমাতে সহায়তা করে। ১ চামচ ওটমিল গুঁড়ো করে তাতে সামান্য পরিমাণ জল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুণ। পেস্টটি ১৫ মিনিট মুখে মেখে রেখে দিন। শুকিয়ে আসলে ধুয়ে ফেলুন। টানা ২ সপ্তাহ দিনে ২ বার করে ব্যাবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
কমলা লেবু ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে খুবই উপকারী। এক্ষেত্রে কমলা লেবুর খোসা গুঁড়ো করুণ। এবারে তাঁর সঙ্গে কিছুটা দুধ দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুণ। ত্বকের কালচে দাগের যায়গায় নিয়মিত ব্যাবহার করুণ। কাজ করবে ম্যাজিকের মতো।