ফিরে দেখা ২০১৯, খেলার মাঠের বছরের সেরা এক ডজন খবর, দেখে নিন একনজরে

দেখতে দেখতে কেটে গেল আরও একটা বছর। নানান ঘটনা, ভাল লাগা, মন্দো লাগাকে সঙ্গে নিয়ে কেটে গেল ২০১৯।  এই একটা বছরে খেলার দুনিয়াও দেখেছে একাধিক ওঠা পরার গল্প।  সাফল্যের হাসি যেমন দেখেছি আমরা, তেমনই দেখেছিল  চোখের জলও। ঘটনার ঘনঘটা থেকে খেলার দুনিয়ার তেমনই এক ডজন গল্প নিয়ে আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন, ফিরে দেখা ২০১৯।

 

amartya lahiri | Published : Dec 30, 2019 7:19 AM IST / Updated: Dec 30 2019, 12:53 PM IST
112
ফিরে দেখা ২০১৯, খেলার মাঠের বছরের সেরা এক ডজন খবর, দেখে নিন একনজরে
ফের দাদাগিরি - খেলার মাঠের গল্প বলতে গেলে এই বছরে ভারতীয় খেলার মানচিত্রে বাংলার নামটা উজ্জ্বল। তার কারণ আর কেউ নন, মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন বছর প্রশাসকদের হাতে থাকার পর ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ২০১৯এর শেষে দিকে এসে স্বাধীন হল। কিন্ত এই নতুন পর্বে বোর্ডের দায়িত্ব নেবেন কে? একাধিক হেভিওয়েট নাম। শুরু দিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামটা খুব একটা হিসেবের মধ্যে আসেনি। দক্ষিণ ভারত এবারও বোর্ড সভাপতি পাওয়ার দৌড়ে এগিয়েছিল। কিন্তু লাস্ট ওভারে খেলার রং বদলে দিলেন সৌরভ। স্টেপ আউট করে উড়িয়ে দিলেন যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা। নতুন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতির সিংহাসনে বসলেন মহারাজ। যেদিন দায়িত্ব নিলেন সেদিন তাঁর গায়ে ছিল সেই ব্লেজারটা, যেটা অধিনায়ক হওয়ার পর পেয়েছিলেন তিনি। সেই ছবি দেখে গর্বে বুক ভরে উঠেছিল বাংলার। ভারতীয় ক্রিকেটের একটা খারাপ সময়ে দলের অধিনায়ক হয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের ছবিটাই বদলে দিয়েছিলেন সৌরভ। এবার সভাপতি হিসেবেও তাঁর কাছে পাওয়া যাবে সেই মেজাজি নেতৃত্ব। আশা গোটা দেশের ক্রিকেট মহলের।
212
গোলপি টেস্ট - সভাপতির পদে বসেই একটা চমক দিলেন সৌরভ। ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে ইডেন টেস্টের রং বদলে দিলেন সৌরভ। লাল বল বদলে গেল গোলাপিতে। মাত্র তিন সেকেন্ডে ভারত অধিনায়ককে রাজি করিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও নিজের দিকে টেনে নিলেন সৌরভ। শহর কলকাতা হয়ে উঠল দেশের নতুন পিঙ্ক সিটি। দেশের মাঠে প্রথম দিন রাতের টেস্টের আয়োজন সফল করতে কোনও ক্ষামতি রাখেননি সৌরভ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও দাদার ডাকে সারা দিয়ে কলকাতায় এসেছেন। রাজ্য সরকারও বাড়িয়ে দিয়েছে সাহযোগিতার হাত। দেশের প্রাক্তন অধিনায়করাও ছুটে এসেছিলেন সৌরভের আমন্ত্রণে। ভারত বাংলাদেশ প্রথম টেস্টের দল হোক বা সিন্ধু-মেরি-আনন্দের মত ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকাদের উপস্থিতি দেখেছে শহর। ক্রিকেটের নন্দন কাননকে এক অন্য রূপে যেন দেখল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। দেশের প্রথম দিন রাতের টেস্টে দাপুটে জয় নিয়ে সৌরভের উদ্যোগে শেষ তুলির টানটা দিয়েছে বিরাটের টিম ইন্ডিয়া।
312
অবশেষে ইংল্যান্ড - ২০১৯ সালে ক্রিকেট বিশ্ব পেল এক নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে। ইংল্যান্ডে বসেছিল এবারের বিশ্বকাপের আসর। প্রথম থেকেই ইংল্যান্ড ও ভারতকে ধরা হয়েছিল বিশ্বকাপের ফেভারিট। একরপর এক দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌছে গিয়েছিল বিরাটের টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু বৃষ্টি বঘ্নিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের মুখ দেখতে হয় ভারতকে। স্বপ্ন ভঙ্গ হয় একশো তিরিশ কোটি ভারতবাসীর। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালের মত উত্তজেক অন্য কোনও ফাইনাল হয়েছে কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ৫০ ওভারের লড়াই ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডকে ভাগ করতে পারেনি। এরপর সুপার ওভারও টাই। কিন্তু বেশ বাউন্ডারি মারারা দৌলতে প্রথমবার বিশ্বকাপ হাতে ওঠে ইংল্যান্ডের। ফাইনাল ম্যাচে কুমার ধর্মসেনার ভুল আম্পায়ারিং নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। এমনকি বেশি বাউন্ডারি মারার নিয়মের পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। বিশ্বকাপে পাঁচটি শতরান করে নতুন রেকর্ড করেছেন রোহিত শর্মা। এবারের বিশ্বকাপ দেখেছে ফুটবলের মত অ্যাওয়ে জার্সির প্রথাও। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে হবে ভারতে।
412
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ - বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবার শুরু হয় নতুন এক চ্যাম্পিয়নশিপ। বিশ্বের সব টেস্ট খেলিয়ে দেশকে নিয়ে ওয়াল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করে আইসিসি। হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টেস্ট খেলিয়ে দেশেদের লড়াই। টেস্ট ক্রিকেটে রং কিছুটা বদলে দিতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। টেস্ট ক্রেকেটেও এখন দেখা যাচ্ছে জার্সি নাম্বার ও নাম। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যেই এবার খেলা হয়েছে অ্যাসেজও। টিম ইন্ডিয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দাপট দেখাচ্ছে শুরু থেকেই। তিনিটি সিরিজে সাতটি ম্যাচ খেলেছে বিরাটের দল। আর সাতটি টেস্ট জিতে ৩৬০ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সবার ওপের থেকেই ২০১৯ সালটা শেষ করছে ভারত। ২০২০ সালের শুরুতেই নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পরতে হবে ভারতকে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেই টেস্ট ওপেনার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন রোহিত শর্মা।
512
ঐতিহাসিক জয় - ২০১৮ সালের শেষ দিকে শুরু হয়েছিল ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। আর ২০১৯ সালে সেটা পূর্ণতা পেল। অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরল বিরাটের দল। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অ্যাডিলেড ও মেলবর্ণে টেস্ট জিতেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল পার্থে। কিন্তু সিডনিতে শেষ টেস্ট ড্র হওয়ার ভারতীয় ক্রিকেট একটা নতুন ইতিহাস লেখে। ১৯৪৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া সফর করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু অজিদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্নটা পূর্ণ হল ২০১৯ সালে বিরাটের দলের হাত ধরে। দুরন্ত ব্যাটিং করে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই টিমা পাইনের অস্ট্রেলিয়াকে মাত দিয়েছে ভারত। এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পাইন ও ভারতীয় উইকেট কিপার ঋষভ পন্থের স্লেজিং পর্বে সরগরম হয়ে উঠেছিল ক্রিকেট মহল। ঘরের মাঠে ভারতের কাছে টেস্ট সিরিজ হেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পরতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।
612
বাদ রাশিয়া - ২০১৯ সালে খেলার দুনিয়ায় অন্যতম চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে রাশিয়া। বিশ্ব অ্যান্টিং ডোপিং এজেন্সি ওয়াডা রাশিয়াকে সবস্থ ধরনের খেলা থেকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে। ডোপিং নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে এমনিতেই চাপে ছিল রাশিয়া। কিন্তু তারপর ডোপিং সংক্রান্ত নথি বিকৃত করার দায়ও উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। বেশ কয়েক মাস ধরে চলা তদন্তের পর ওয়াডা জানিয়েছে, একাধিক ক্রীড়াবিদের ডোপিং সংক্রান্ত তথ্য বদলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে অনেক ফাইল। তার প্রমাণও উঠে এসেছে নাডার তদন্তে। তাই আগামী চার বছরের জন্য সব ধরনের খেলা থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে রাশিয়াকে। এর ফলে আগামী বছর অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া। তবে রাশিয়ার যে সব ক্রীড়াবিদ অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করেছেন তারা অলিম্পিক ফ্ল্যাগের অধীনে বেজিংয়ে মাঠে নামতে পারবেন।
712
ভালো খারাপে মিলিয়ে - ২০১৯ সালটা ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের জন্য সাফল্যের একটা বছর। তবে সব দিক থেকে এই সাফল্য এসেছে এমনটা বলা যাবে না। চলতি বছরে অগাস্ট মাসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ব্যাডমিন্টনের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন পিভি সিন্ধু। এর আগে এই কৃতিত্ব কোনও ভারতীয় শাটলারের নেই। এটা যেমন সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে যাওয়ার একটা দিক, তেমনই খারাপ দিকও আছে। কারণ এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়া বাকিটা যে শূন্য। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে একের পর এক টুর্নামেন্টে ধরাশায়ী হয়েছেন সিন্ধু। একই রকম অবস্থা সাইনারও। চোটের জন্য ২০১৯ সালটা একেবারেই ভালও কাটেনি সাইনার। তাই ২০১৯ সালে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে একদিকে যেমন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উন্মাদনা আছে তেমনই আছে একাধিকস ব্যর্থতার গল্প।
812
ময়দানে ইতিহাস - কলকাতা ময়দানে ২০১৯ সাল একটা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল। ৬১ বছর পর একটা অসাধ্য সাধন করে দেখাল পিয়ারলেস স্পোর্টস ক্লাব। ১৯৫৮ সালে কলকাতার তিন প্রধানের বাইরে কোনও দল কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেবার যে কাজটা করে দেখিয়েছিল ইস্টার্ন রেল, এবার সেটাই করে দেখাল জহর দাসের পিয়ারলেস। লিদের শুরু থেকেই দাপট নিয়ে খেলতে থাকে তারা। ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে এবারের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ক্রোমারা।
912
দ্বিতীয় ডিভিসন লিগে দুই প্রধান - কলকাতা লিগে যেমন ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানকে সরিয়ে দিয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পিয়ারলেস, তেমনই ২০১৯ সালে ভারতীয় ফুটবলেও দ্বিতীয় সারিতে নেমে গেল দুই প্রধান। অনেক দিক দেখার পর ২০১৯ সালে ভারতীয় ফুটবলের সংক্ষিপ্ত রোড ম্যাপ প্রকাশ করল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। আর তাতে দেশের এক নম্বর লিগের তকমা দেওয়া হল আইএসএলকে। দ্বিতীয় ডিভিসন লিগ হয়ে গেল আইলিগ। এবার থেকেই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন ক্লাব খেলবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। আর আইলিগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাব খেলবে এএফসি লিগে। পরিস্থিতির কাছে গোটা অধ্যায়টা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল কলকাতার দুই প্রধানের কাছে।
1012
এশিয়া কাপে প্রত্যাবর্তন - ২০১৯ সালটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য বিরাট কোনও দিক খুলে দিতে পারেনি। বছরের শুরুতেই এশিয়া কাপের মঞ্চে নেমেছিল ভারত। প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে একটা চমক দিয়েছিলেন সুনীলরা। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচে বারহিন ও আয়োজক ইউএই’র কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আশা শেষ হয়ে যায় সুনীলদের। এশিয়া কাপের পর কনস্টেনটাইম দায়িত্ব ছাড়েন। তার জায়গায় আসেন ক্রোয়েশিয়ার ইগর স্টিমাচ। কিন্তু ক্রোট কোচের অধীনে ভারতীয় দলের পারফরম্যানেস খুব বেশি ভালও এমনটা বলা যাবে না। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন কাতারের সঙ্গে তাদের ঘরের মাঠেই ড্র করেছিল ভারত। কিন্তু তারপর থেকে পারফরম্যান্সে খুব একট উন্নতি চোখে পরেনি। ২০২০ সালে ব্লু টাইগার্সদের সামনে যা সুযোগ আছে সেটা কাজে লাগাতে না পারলে ইগর স্টিমাচের কোচের পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
1112
না খেলেও শিরোনামে - ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক রেকর্ড হয়েছে, অনেক ক্রিকেটার নিজেদেরে প্রমাণ করে উঠে এসেছেন মূল স্রোতে। কিন্তু একজন ক্রিকেটার মাঠে না থেকেও প্রায় গোটা বছরটাই থেকে গেলেন খবরের শিরোনামে। তিনি প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকে মাঠে নামেননি ধোনি। আর এটাই যে আলোচনার বিষয়। তিনি কী খেলা ছেড়ে দিয়েছেন? তিনি কবে অবসর নিচ্ছেন এই প্রশ্নেই মাত হয়ে থাকল গোটা ভারতীয় ক্রিকেট। ২০১৯ সালের শেষ বেলায় এসে মুখ খুললেন মাহি। জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে ফেরা নিয়ে প্রশ্ন করা মানা। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালের শুরু থেকে যদিও প্রশ্ন শুরু হবে। ধোনি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলবেন? উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম আমরাও। এদিকে ধোনি মাঠে না ফিরলেও প্রায় একবছর বাদে জাতীয় দলে ফিরে এলেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। আর শুধু ফিরলেন বলাটা ভুল। দাপট দেখিয়ে আবার নিজের সুপারম্যান শিরোপা মাথায় পরে নিলেন। আর তাঁর পারফরম্যান্স দেখে ক্রিকেট পণ্ডিতরা বলছেন বর্তমান ক্রিকেটে বিশ্বসেরা কিপার ঋদ্ধিমানই।
1212
ক্রিকেট ফিরল পাকিস্তানে - ২০১৯ সালে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরল পাকিস্তানে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি ছিল না কোনও দল। কিন্তু ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কাই আবার অন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে দিল পাকিস্তানকে। প্রথমে একদিনের সিরিজে খেলতে গিয়েছিল লঙ্কার দল। যদিও সেই দলে ছিলেন না দশ জন সিনিয়র ক্রিকেটার। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েই সরে এসেছিলেন তারা। ডিসেম্বর মাসে আবার পাকিস্তানে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে গেলেন লঙ্কার ক্রিকেটাররা। এবার যদিও সিনিররা গেলেন দলের সঙ্গে। সফল ভাবেই টেস্ট আয়োজন করল পাকিস্তান। বর্তমান পাক দলের ক্রিকেটাররা ঘরের মাঠে টেস্ট খেলার সুযোগ পেলেন।
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos