কে এই আব্বাস সিদ্দিকী, কীভাবে উত্থান, জানুন 'ভাইজানের' অজানা কাহিনি

বাংলার রাজনীতিতে উল্কার গতিতে আগমন ঘটেছে আববাস সিদ্দিকীর। এবারের ভোটে তিনি যে 'কিং মেকার' হতে চলেছে সেই ঘোষণা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে বাংলার ভোট যুদ্ধে লড়াই করছে 'ভাইজানের' নতুন দল আইএসএফ। ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত  এলাকায় জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া আব্বাসের। সব জায়গায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বঙ্গ রাজনীতিতে এই নতুন শক্তি। কিন্তু ধর্মগুরু থেকে রাজনীতির ময়দান, কেমন ছিল আব্বাসের এই যাত্রা পথ। 

Sudip Paul | Published : Mar 4, 2021 8:18 AM IST / Updated: Mar 05 2021, 11:51 AM IST

116
কে এই আব্বাস সিদ্দিকী, কীভাবে উত্থান, জানুন 'ভাইজানের' অজানা কাহিনি
বিগত চার বছরে যাঁর জনপ্রিয়তা রাজনৈতিক দল ও নেতাদের সমানে টেক্কা দিচ্ছে। যাঁর প্রকাশ্য সভায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে ছাড়িয়ে যায়। যাঁকে নিয়ে এখন আলোচনা সর্বত্র।
216
এই মুহুর্তে বাংলার বহুচর্চিত নাম পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। শুধু মুসলিম সমাজ নয়, আদিবাসী, দলিত, হিন্দু সকল স্তরের পিছিয়ে পড়া মানুষকে এককাট্টা করে সমাজের পিছিয়ে পড়া জাতির জন্য লড়াইয়ের কথা বলেন তিনি।
316
আব্বাস সিদ্দিকী ফুরফুরা শরিফ দরবার পরিবারের একজন সদস্য। পীরবংশের সন্তান। ফুরফুরা শরিফের প্রথম পির আবু বকর সিদ্দিকির পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের প্রতিনিধি হলেন পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি।
416
ফুরফুরা শরিফের ছোট হুযুর পীর জুলফিকার আলির পৌত্র। তাঁর বাবার নাম পীরজাদা আলি আকবর সিদ্দিকী। ফুরফুরা শরিফের আর এক চর্চিত নাম পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর ভাইপো।
516
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম তীর্থভূমি’ ফুরফুরা শরিফের পীরজাদাদের মধ্যে আব্বাস সিদ্দিকী এখন জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে। যাঁর মধ্যে সমাজের জন্য কিছু করার তাগিদ রয়েছে। ছোটো থেকেই অন্যের উপকারে নিজেকে নিয়োজিত করতেন। জাত ধর্ম বিচার নাম করে ছোটো বেলায় বন্ধুদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন পীরবংশের এই সন্তান।
616
আব্বাস সিদ্দিকীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। তিনি নাকি পড়াশোনা করেননি। এই সব ভুল প্রচার রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু বাস্তাবে আব্বাস সিদ্দিকী থিওলজি বিষয়ে এম.এ করেছেন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুরফুরা টাইটেল মাদ্রাসার স্টাডি সেন্টার থেকে এম.এ পাশ করেছেন তিনি।
716
পড়াশোনা শেষ করেই ধর্মীয় সভায় বক্তব্য রাখতে শুরু করেন আব্বাস। সেই সভা থেকে যুব সমাজের মধ্যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন তিনি। এই ভাবে অল্প বয়সেই তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ে।
816
অনুগামীরা তাঁকে ডাকেন ভাইজান নামে। আস্তে আস্তে সেই জলসাগুলিতেই আব্বাসের মুখে উঠে আসে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক খোঁজখবর ও ব্যাখ্যার কথাও। একইসঙ্গে কীভাবে গরীবরা বঞ্চিত হচ্ছেন সেই কথাও তুলে ধরেন তিনি।
916
২০১৬ সালে ফুরফুরা শরিফ আহলে সুন্নাতুল জামাত নামে এক অরাজনৈতিক সংগঠন তৈরি করে সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। ২০১৯ সালে ফুরফুরা ‘নলেজ সিটি’-রও শিলান্যাস করেন তিনি।
1016
এর মধ্যে ২০১৯ সালেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা সিএএ নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয় তখনই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা শোনা যায় সিদ্দিকির গলায়। তখন থেকেই নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে রাজনীতিতে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন এই ধর্মীয় নেতা।
1116
২১-এর বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসতে থাকে ধীরে ধীরে রাজনীতি নিয়ে নিজের বক্তব্যের আগুনের মাত্রা আরও বাড়াতে থাকেন আব্বাস সিদ্দিকী। রাজ্যের ও কেন্দ্রের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির সমালোচনায় সরব হন তিনি।
1216

গত ২১ জানুয়ারি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নামে আত্মপ্রকাশ করে আব্বাসের রাজনৈতিক দল। রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে যান 'ভাইজান'। এবারের ভোটে তারদলই ফ্যাক্টর হতে চলেছে বলে ঘোষণা করেন তিনি।
 

1316
ফুরফুরার সিদ্দিকি পরিবারে আব্বাসই প্রথম যিনি ধর্মগুরু পরিচয় সঙ্গে নিয়েই পা রেখেছেন রাজনীতির আঙিনায়। কিন্তু দলের নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ টানতে নয়, সিদ্দিকি ঘোষণা করেছেন দলিত, তফশিলি সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নই হবে তাঁর রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য।
1416

এবারের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী। এছাড়াও তার সঙ্গে রয়েছে কয়েকটি ছোট ছোট আঞ্চলিক দলও। রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপি পরাসত করাই তার প্রথম লক্ষ্য।
 

1516
বামেদের ব্রিগেডেও উপস্থিত ছিলেন আব্বাস সিদ্দিকী। তার ভাষণ যে ব্রিগিডের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক কর্মসূচিও শুরু করে দিয়েছে আব্বাসের দল।
1616
আবাবাসের প্রার্থী তালিকাতেও শুধু মুসলিম সমাজ নয়, সমাজেরর বিভিন্ন ক্ষেতরের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষ থাকতে চলেছে। বাংলার রাজনীতিতে নতুন শক্তি হিসেবে উঠে আসা আইএসএফ ও তার প্রতিষ্ঠাতা সকলের প্রিয় 'ভাইজান' কতটা সাফল্য পান, তার উত্তর মিলবে ২ মে।
Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos