। সারা বিশ্বে এমন অনেক রোগী রয়েছে যারা এই সমস্যায় ভুগছেন। তিনি বলেন, এটি এমন একটি রোগ যে, তিনি চাইলেও স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচতে পারছেন না। তারা জিনিসগুলি বারবার পুনরাবৃত্তি করে। সাক্ষাৎকারে এ কথা প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে এই রোগ নিয়ে আলোচনা ।
শিল্পী নাসিরুদ্দিন শাহ এক বিশেষ ধরনের ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করছেন । এর নাম ওনোমাটোম্যানিয়া । এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ওনোমাটোম্যানিয়া নামের একটি রোগের সঙ্গে লড়াই করছি। এটা কোন রসিকতা নয়। সারা বিশ্বে এমন অনেক রোগী রয়েছে যারা এই সমস্যায় ভুগছেন। তিনি বলেন, এটি এমন একটি রোগ যে, তিনি চাইলেও স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচতে পারছেন না। তারা জিনিসগুলি বারবার পুনরাবৃত্তি করে। সাক্ষাৎকারে এ কথা প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে এই রোগ নিয়ে আলোচনা ।
Onomatomania কি?
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী , এটি একটি ভিন্ন ধরনের সমস্যা। এতে ভুক্তভোগী রোগীরা নির্দিষ্ট কিছু শব্দের প্রতি খুব আসক্ত হয়ে পড়েন। তাই তারা একই শব্দ বারবার উচ্চারণ করতে থাকে। এটি এমন একটি অবস্থা যখন একজন রোগী নির্দিষ্ট কিছু নির্দিষ্ট শব্দ বারবার উচ্চারণ করেন। এটি নির্দিষ্ট লাইন, প্রবাদ বা নির্দিষ্ট শব্দ নিয়ে গঠিত।
রোগী কারও সঙ্গে কথোপকথনের সময় একই শব্দ বারবার ব্যবহার করে। কখনও কখনও তারা যে শব্দগুলি বলতে চায় তা মনে রাখতে পারে না। কিছু শব্দ রোগীর কথোপকথনে এতটাই জড়িয়ে যায় যে সে চাইলেও সেগুলি বলা বন্ধ করতে পারে না। তাই রোগী আরাম পায় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তিগত বা পেশাগত পর্যায়ে রোগীর জীবনযাত্রায় এটি এতটা প্রভাব ফেলে না যে এটিকে একটি রোগ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। রোগী এই সমস্যায় ভুগলে বা রুটিন ব্যাহত হলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
এটা কি মনোরোগ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কোনও ব্যাধি নয়, তাই একে রোগ বা মনোরোগ বলে নাম দেওয়া উচিত নয়। এমন অবস্থায় একজন ব্যক্তি বারবার শব্দগুলো পুনরাবৃত্তি করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো কিছুকে রোগ বলা হয় যখন তা মানুষের দৈনন্দিন রুটিনে প্রভাব ফেলে। এটি তার ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনকে প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে এটি কোনো রোগ না হলেও শিল্পী নাসিরুদ্দিন শাহও একে রোগ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।
অনম্যাটোম্যানিয়া কী তা একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ কোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বেশি লড়াই করেন। উদাহরণস্বরূপ, কারও ভাষার প্রতি বেশি আগ্রহ বা সংগীতের প্রতি বেশি আসক্তি রয়েছে। এই সম্পর্কিত চিন্তাগুলি বারবার সেই লোকদের মধ্যে আসতে থাকে। এটা তার স্বভাব ও কথাবার্তায়ও দৃশ্যমান। তাই এটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে না।
আরও পড়ুন- কিডনি সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই টিপসগুলো, জেনে নিন কিডনি সুস্থ রাখার সহজ উপায়
আরও পড়ুন- মানসিক চাপের সম্মুখীন গৃহিণীরা, তবে কাজে লাগান এই উপায়গুলি
আরও পড়ুন- ওজন কমানো থেকে হার্ট সুস্থ রাখতে, জেনে নিন মৌরির অব্যর্থ ৬ উপকারিতা