অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, তৈলাক্ত, আমিষ, মশলাদার খাবার, অতিরিক্ত খাওয়া বা অনেক অনিয়মিত পদ্ধতির কারণে পিত্তের অতিরিক্ত উৎপাদন ঘটে। বংশগতি পিত্ত উত্পাদন হতে পারে।
গলব্লাডার স্টোন। রীতিমত চিন্তাদায়ক একটি অসুখ। সেইসঙ্গে যন্ত্রণাদায়ক তো বটেই। গলব্লাডার স্টোন বা পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচও যথেষ্ট। বর্তমানে পিত্তথলির পাথর অপারেশন, হাসপাতালে থাকা, চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য কমপক্ষে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। শরীরে নিয়মিত পিত্ত উৎপন্ন হয় এবং এর বিপাকক্রিয়া এই অভ্যন্তরীণ আদান-প্রদানের সঙ্গে জড়িত।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, তৈলাক্ত, আমিষ, মশলাদার খাবার, অতিরিক্ত খাওয়া বা অনেক অনিয়মিত পদ্ধতির কারণে পিত্তের অতিরিক্ত উৎপাদন ঘটে। বংশগতি পিত্ত উত্পাদন হতে পারে। এখন যেহেতু আমরা এই রোগটি নিয়ে উদ্বিগ্ন, আমরা বিশেষ করে এটি সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু এই পিত্ত ব্যাধির জন্য সবচেয়ে উপকারী ঔষধি ফল হল কোঙ্কনের রাতাম্বা ওরফে কোকুম। কোকুম সিরাপ অবশ্যই অন্য যেকোনো কৃত্রিমভাবে ঠাণ্ডা কোমল পানীয়ের চেয়ে বেশি কার্যকরী পিত্তনাশের জন্য।
কোকুম সরবতের উপকারিতা
কোকুম সিরাপ নিয়মিত সেবন পিত্ত ব্যাধি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। রাতাম্বা থেকে তৈরি কোকুম শরবত মান ও স্বাদের দিক থেকে খুবই সুস্বাদু। এটি যেকোন অ্যাফিলিয়েট, যেকোনো প্রোগ্রামের প্রচারের জন্য আবশ্যক। রাতাম্বা গাছ বহুমুখী, এই কারণেই কোঙ্কনি খাবারে কোকমার শোলা আমসুলা ব্যবহার করা হয়। কোকমা আগলা রান্নায়ও ব্যবহৃত হয়। কোকমা শরীরে শীতলতা ও মিষ্টতা বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। বিশ্ববাজারে হাজার হাজার কোটি টাকার কৃত্রিম কোমল পানীয় পণ্য খায়। কিন্তু তা শরীরের ক্ষতি ছাড়া আর কিছু করে না।
কোকুম সিরাপ এই ধরনের কৃত্রিম কোমল পানীয়ের জন্য উপযুক্ত প্রতিযোগী হতে পারে। কোকমার উৎপাদন বাড়ালে উপকৃত হবে কোঙ্কন প্রদেশ। সঠিকভাবে চাষ করা হলে তা বিশ্বের জন্য একটি আশীর্বাদ প্রমাণিত হবে। কোকুম এবং কোকুম থেকে তৈরি পণ্যগুলি পিত্ত রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপকারী।
প্রতিদিনের খাবারে কোকুম সোলা ব্যবহার করা উচিত। চোখ ও পায়ের ফোলাভাব কমাতেও কোকুমের বীজ থেকে তৈরি তেল ব্যবহার করা হয়। কোকমা পিত্ত রোগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে।