করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে তা কাজে লাগতে কয়েক মাস বা এমনকি বছর অবধিও সময় লাগতে পারে। তবে বর্তমানে এই মহামারি এড়ানোর সমাধান হল মাস্ক পরা, এবম বার বার হাত ধোওয়া। এমন সময় অনেকেরই দিনের বেশিরভাগ সময় মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে। তবে মাস্ক পরা অবস্থায় কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, অন্যথায় এটি কিছু শারীরিক সমস্যার কারণও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়িতে থাকলে সব সময় মাস্ক পরে থাকার প্রয়োজন নেই। যে কোনও সুস্থ ব্যক্তির কেবল তখনই একটি মাস্ক পরা উচিত যখন তিনি কোনও অসুস্থ বা কারোনা রয়েছে এমন কোনও ব্যক্তির কাছাকাছি যাচ্ছেন এবং বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মাস্ক পরে থাকলে দেখা দিতে পারে এই শারীরিক সমস্যাগুলি।
শ্বাস নিতে অসুবিধা বা শ্বাসকষ্ট-
মানুষ শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্য দিয়ে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত করে। তবে মাস্ক পরে থাকলে কার্বন ডাই অক্সাইড ধীরে ধীরে নিঃসৃত হয়। একই সময়ে, মাস্কের কারণে অল্প পরিমাণ অক্সিজেন শরীরে পৌঁছচ্ছে। এই কারণে শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। শরীরে এই সমস্যা বাড়তে থাকলে ব্যক্তির মাথা ঘামানো এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। অতএব, দীর্ঘ সময়ের জন্য মাস্ক প্রয়োগ করা ঠিক নয়।
মাথা ব্যথা এবং মাথা ঘোরা সমস্যা
একটানা মাস্ক পরা অবস্থায় কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা শরীরে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মাথাব্যথা এবং মাথা ঘোরার মতো সমস্যা বাড়াতে পারে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এর মতে, দীর্ঘ সময়ের জন্য মাস্ক প্রয়োগ করার ফলে শরীরের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তাই যখন আরও বেশি লোকের মধ্যে উপস্থিত থাকে তখন মাস্ক লাগান, তবে যখন বাড়িতে থাকবেন বা ঘরে একা থাকবেন তখন এর ব্যবহার কম করুন।
মর্নিং ওয়াক বা শরীর চর্চার সময় মাস্ক ব্যবহার করবেন না-
মর্নিং ওয়াক বা শরীর চর্চার মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ হয়। কারণ দৌড়ানোর সময় শরীরে আরও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। তাই এই সময় মাস্ক ব্যবহার করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা একনকী হৃদযন্ত্র বিকল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই মর্নিং ওয়াক বা শরীর চর্চা বাড়িতেই করুন, তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে মাস্ক ছাড়াই তা করতে পারবেন। এই সময়ে অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাবেন না। শারীরিক সমস্য়া দেখা দিলে সত্ত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।