আবেগপ্রবণ হয়ে দুফোঁটা চোখের জল ফেলে দিন ,চোখের জলই তো মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার চাবিকাঠি

Published : Feb 04, 2022, 04:04 PM ISTUpdated : Feb 04, 2022, 04:16 PM IST
আবেগপ্রবণ হয়ে দুফোঁটা চোখের জল ফেলে দিন ,চোখের জলই তো মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার চাবিকাঠি

সংক্ষিপ্ত

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নানা সময় চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে আসে। আর সেই চোখের জলেই লুকিয়ে রয়েছে আপনার ভালো থাকার মূলমন্ত্র। গবেষকরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন, চোখের জলের মাধ্যমে শরীর থেকে বেশ কিছু টক্সিনও নির্গত হয়ে যায়। কাঁদলে শরীরের অতিরিক্ত ওজনও কমে যায়। 

চোখের জলই নাকি ভালো স্বাস্থ্য গড়ার চাবিকাঠি। হ্যাঁ, চোখের জল বা কান্না মানেই কিন্তু দুঃখ বা আনন্দের বর্হিপ্রকাশ নয়। যত কাঁদবেন তত আপনি চাঙ্গা থাকবেন, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই কন্নাই নাকি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে নানারকম প্রভাব ফেলে। এই বিষয় একটা কথা কিন্তু বলতেই হয়, বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু বলা হয়, তারা যথ কাঁদবে তত নাকি হার্ট ভাল হবে। তবে বড় মানুষদেরও কান্নার উপকারীতা রয়েছে, এটা শুনে আবাক হচ্ছেন নিশ্চই। আসুন তাহলে জেনে নিন, এই বিষয় বিশেষজ্ঞরা কী মত প্রকাশ করছেন। তাঁরা বলছেন, আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নানা সময় চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে আসে। আর সেই চোখের জলেই লুকিয়ে রয়েছে আপনার ভালো থাকার মূলমন্ত্র। আপনি শারীরিক ও মানসিক ভাবে অনেকটা সুস্থ হচ্ছেন এই চোখের জলের মাধ্যমেই। 

এক নজরে দেখে নিন কান্নার কী কী উপকারিতা রয়েছে -----


১. বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি কাঁদেন তাহলে চোখের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে অনেক দূষিত পদার্থ নির্গত হয়ে যায়। চোখে যে ধুলো, ধোঁয়া, নোংরা হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবেশ করে, কাঁদলে তা চোখের জলের সঙ্গে বেরিয়ে চোখ পরিস্কার হয়ে যায়। তাঁরা আরও বলেছেন, চোখের জলে ৯৮ শতাংশ জল থাকে, বাকি অংশ থাকে স্টেস হরমোন এবং টক্সিন। গবেষকরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন, চোখের জলের মাধ্যমে শরীর থেকে বেশ কিছু টক্সিনও নির্গত হয়ে যায়।

আরও পড়ুন-বদলে যাচ্ছে নখের রং, ভুলেও অবহেলা নয়, হতে পারে আপনি ওমিক্রন আক্রান্ত

আরও পড়ুন-World Cancer Day 2022: এই কয়টি ভুলে বাড়ছে ফুসফুস ক্যান্সার, জেনে নিন কী করে মুক্তি পাবেন মারণ রোগ থেকে

আরও পড়ুন-শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কমছে না ওজন, ডায়েটিং নিয়ে আপনার ভুল ধারণা নেই তো, জেনে নিন কী করবেন

২. মনোবিদরা জানাচ্ছেন, কাঁদলে মন অনেকটা হালকা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে  মেজাজেরও খানিকটা পরিবর্তন ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে নাকি আবার কান্নার পর বহু মানুষ নতুন করে কাজের উদ্যম খুঁজে পান। কান্নাকাটি করলে চোখের শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যাও প্রতিরোধ করা যায়। অনেকেরই ড্রাই আই বা চোখের গ্রন্থি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। চোখের জল নির্গত হলে এই সমস্যাও প্রতিরোধ করা যায়। 

৩.গবেষকরা বলছেন, যাঁরা অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন কিংবা ডায়েট মেনে চলছেন, তাঁদের জন্য কান্নাটা খুবই উপকারী। কাঁদলে শরীরের অতিরিক্ত ওজনও কমে যায়। তাঁদের মতে, কান্নার সময় শরীর থেকে ক্যালোরি নির্গত হয়। আর এই ক্যালোরি নির্গত হলেই অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। 

কান্নাকাটি করার উপকারিতা তো জেনে নিলেন। তাহলে বলাই যায় চোখের জলেই নিজেকে সুস্থ রাখার টিপস আপনার কাজে আসতে পারে। এবার থেকে তাহলে আবেগপ্রবণ হয়ে দুফোঁটা চোখের জল ফেলে দিন আর সুস্থ থাকুন। 

PREV
click me!

Recommended Stories

শীতকালীন অবসাদ জানেন কী হয়? মন ভালো করতে কেক বা চকলেট নয়, করুন এই কয়েকটি উপায়
৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস