মাথায় তীব্র যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দ সহ্য করতে না পারা, চোখে ব্যথা এমন কী মুখ এবং চোয়ালেও ব্যথা হতে পারে। এই সমস্যার কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই।
মাইগ্রেন কোনও সাধারণ সমস্যা নয়। এটি একধরণের নিউরোলজিক্যাল সমস্যা। যার একবার এই ব্যথা হয়েছে সেই বুঝবে এর সঙ্কট। মাথায় তীব্র যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দ সহ্য করতে না পারা, চোখে ব্যথা এমন কী মুখ এবং চোয়ালেও ব্যথা হতে পারে। এই সমস্যার কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই। তাই এখন থেকেই সাবধান হন। চিকিৎসকরা বলেন মাইগ্রেনের কারণে মাথার একপাশে প্রচন্ড ব্যথা হয়। ওষুধ না খেয়ে মাইগ্রেনের ব্যথা সারানো যায় না। এর ব্যথা ৫-৬ ঘন্টা স্থায়ী হয়। ভিড়ের জায়গায় গেলে আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা যেমন বাড়তে পারে, তেমনি বেশি শব্দও ক্ষতিকর।
তবে কিছু খাবার রয়েছে, যা মাইগ্রেন শুরু হলে একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। কারণ
মাইগ্রেনের লক্ষণ
১. চোখের সামনে কালো দাগ
২. স্কিন প্রিক
৩.বিরক্তি
৪.কথা বলতে সমস্যা
৫.হাত ও পায়ে কাঁপুনি
৬.চোখের নিচে কালো দাগ
৭.শরীরে দুর্বলতা
কি কি খাবেন না, রইল তালিকা
পনির- পনির অনেকেরই খুব পছন্দ। কিন্তু এতে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে। এমতাবস্থায় মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে নীল পনির, ব্রি, চেডার, সুইস, ফেটা, মোজারেলা ইত্যাদি খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
মিষ্টি- অনেকেই আছেন যারা মিষ্টি খুব পছন্দ করেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যাসপার্টামের মতো কৃত্রিম মিষ্টি, সাধারণত ডায়েট কোক এবং অন্যান্য ক্যালোরি-মুক্ত পানীয়তে পাওয়া যায়, মাইগ্রেনের মাথাব্যথার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
চকলেট- মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়াতেও কাজ করে চকোলেট। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে, তবে অল্প পরিমাণে চকলেট খাওয়া আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।
অতিরিক্ত কফি খাওয়া মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দিনে দুইবারের বেশি কফি খাওয়া এড়িয়ে চলা জরুরি।
এই খাবারগুলি খেলে আরও বাড়বে মাইগ্রেন
চিকেন
দুগ্ধজাত পণ্য
শুকনো ফল
রসুন
পেঁয়াজ
আলুর চিপস
কী কী করলে মাইগ্রেনের ব্যথা এড়ানো যায়-
১) মাইগ্রেনের ব্যথার পিছনে অন্যতম কারণ স্ট্রেস। মাইগ্রেনের ব্য়থা থেকে দূরে থাকতে স্ট্রেস কমান। যে বিষয় স্ট্রেস দেয় তার থেকে দূরে থাকুন।
২) এক ভাবে বসে থেকে কাজ বন্ধ করুন। মাঝে মধ্যে শরীর চর্চা করুন। যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন, হাঁটাচলা, খেলাধূলার মধ্যে নিজেকে রাখুন
৩) খাওয়া দাওয়ায় বেশিক্ষণের জন্য বিরতি দেবেন না। এতে মাইগ্রেনের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। কাজের চাপে এই ভুলটা আমরা অনেক ক্ষেত্রেই করে থাকি। ওমেগা ৩ ও পুষ্টিগুণে ভরা খাবার খান। এর মধ্যে রয়েছে স্যামন ফিশ, অলিভ অয়েল।
৪) বাইরে গিয়ে কাজ করার পেশায় যুক্ত থাকলে সীমাহীন সময়ের জন্য কাজ করবেন না। এতে শরীরে অবনতি হয়।
৫) নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। ডিহাইড্রেশন হলে মাইগ্রেনের ব্যথা দ্বিগুণ হয়। দিনে অন্তত ২ লিটার জল খাওয়া উচিত। এতে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকটাই দূরে থাকবে।
৬) দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম প্রয়োজন। চিকিৎসকরা বলছেন দিনে ৭ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য।