কয়েকটা সিঁড়ি ওঠার পর আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তবে তা কোনও গুরুতর রোগের লক্ষণ নয়, তবে কিছু মানুষের জন্য এটি বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে যদি ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখুন-
আজকের সময়ে আমরা সবাই ব্যস্ত জীবন-যাপন করছি, যেখানে আমরা অনেক সময় আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারি না। অন্যদিকে, করোনা মহামারির কারণে সবার জীবনযাত্রায় উত্থান-পতন দেখা দিয়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর খুবই খারাপ প্রভাব ফেলছে। দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি থাকার কারণে মানুষ নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও, আজকাল মানুষের খাদ্যাভ্যাসেরও অনেক অবনতি হয়েছে।
আমরা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে শুরু করেছি। যার কারণে ভেতরে ভেতরে দুর্বল হতে শুরু করেছে। এ কারণে মানুষ সিঁড়ি ব্যবহারের বদলে লিফট নিতে পছন্দ করে কারণ তারা দুই বা চারটি সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই তাদের শ্বাসের সমস্যা হয় বা হাঁপিয়ে যায় এবং হৃদস্পন্দনও বেড়ে যায়।
যাই হোক, সিঁড়ি বেয়ে ওঠাকে ফিট থাকার সবচেয়ে সহজ উপায় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু আপনিও যদি একটু সিঁড়ি চড়তেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন আর হাঁপাতে শুরু করেন তবে তা চিন্তার বিষয়। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত?
সিঁড়ি বেয়ে উঠলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় কেন?
এটি প্রায়শই ঘটে যে আমরা কয়েকটি সিঁড়ি বেয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই হাঁপাতে শুরু করি, এটি মোটেও স্বাভাবিক লক্ষণ নয়। কারণ এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে আরও অনেক কারণ। হ্যাঁ, মনে করা হচ্ছে এর পিছনে কারণ হতে পারে শরীরে পুষ্টির অভাব। তবে অনেক সময় পুষ্টি পাওয়ার পরও শরীরে সামান্য কাজ করার পর আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন, যা অভ্যন্তরীণ অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে। এর কারণ হল কম ঘুম, মানসিক অসুস্থতা এবং রক্তশূন্যতার মতো অনেক রোগের কারণে। এছাড়াও তাড়াতাড়ি ক্লান্তিবোধও একটি সমস্যা।
এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে
যদিও কয়েকটা সিঁড়ি ওঠার পর আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তবে তা কোনও গুরুতর রোগের লক্ষণ নয়, তবে কিছু মানুষের জন্য এটি বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে যদি ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখুন-
১) শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে দেওয়া উচিত নয়।
২) রাতে সময় মতো ঘুমান এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠুন।
৩) প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম নিন এবং দিনের বেলা ঘুমানোর অভ্যাস পরিহার করুন।
৪) শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাবার খান এবং বাইরের ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন
৫) সময় মতো ব্যায়াম এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন
তবে সুস্থ জীবনেও যদি অতিরিক্ত শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা থাকে, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। কারণ এটি ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোমের লক্ষণও হতে পারে।
আরও পড়ুন- ওজন কমাতে শুধু কম খেলেই হবে না, সবার আগে মেনে চলুন এই কয়টি জিনিস, রইল টোটকা
আরও পড়ুন- একনাগাড়ে চেয়ারে বসে কাজ, সুস্থ থাকতে অফিসে মেনে চলুন এই কয়টি জিনিস
আরও পড়ুন- চীনা শিক্ষাব্যবস্থায় লাভবান বাংলাদেশী পড়ুয়ারা, কোন লাভের আশায় চীনে ছুটছেন তাঁরা