সামান্য বিষয়ে রেগে যাচ্ছেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপই হতে পারে মৃত্যুর কারণ

রাগ নেই এমন মানুষের সংখ্যাটা নেহাতই হাতে গোনা। ছেলে ,মেয়ে উভয়েরই এই রাগ সমান সমান থাকে। অনেকেই আছেন যারা সামান্য বিষয় নিয়ে একটুতেই রেগে যান। সহজ জিনিসটাকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। আর তখনই আসে নানান সমস্যা। রাগের ফলে নিজের অজান্তেই ক্ষয়ক্ষতি করে ফেলছেন শরীরের। গবেষণা বলছে,  অতিরিক্ত রাগের ফলেই শরীরে বাসা বাঁধছে নান জটিল রোগের, যা থেকেই হতে পারে মৃত্যু।

রাগ নেই এমন মানুষের সংখ্যাটা নেহাতই হাতে গোনা। ছেলে ,মেয়ে উভয়েরই এই রাগ সমান সমান থাকে। অনেকেই আছেন যারা সামান্য বিষয় নিয়ে একটুতেই রেগে যান। সহজ জিনিসটাকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। আর তখনই আসে নানান সমস্যা। রাগের ফলে নিজের অজান্তেই ক্ষয়ক্ষতি করে ফেলছেন শরীরের। গবেষণা বলছে,  অতিরিক্ত রাগের ফলেই শরীরে বাসা বাঁধছে নান জটিল রোগের, যা থেকেই হতে পারে মৃত্যু। রেগে গেলে কারোরই মাথার ঠিক থাকে না। কিন্তু অনেকেই আছেন রাগ চেপে রাখেন। কিন্তু রাগ চেপে রাখা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি, যা কিনা আপনার অজান্তেই ডেকে আনে বড় বিপদ। অতিরিক্ত রাগ শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেল। দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক চাপ থেকেই ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, বুকে ব্যথার মতো জটিল রোগের সৃষ্টি হয়।  গবেষণা বলছে,  প্রতি বছর প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ স্ট্রোক মারা যাচ্ছে। যার অনেকটাই দায়ী মানসিক চাপ, স্ট্রেস, চাপা কষ্ট।অতিরিক্ত রাগের ফলে শরীরে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, বুকে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

যারা অল্পেতেই রেগে যায় তাদের যে কোন সময়ে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পাশাপাশি কিডনির রোগ ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে।যারা আচমকা রেগে যান তাদের মস্তিষ্কের উপর প্রচন্ড চাপ পড়ে, যার ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালিগুলি কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখান থেকেও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। অতিরিক্ত রাগের ফলে হার্টের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে হৃদপিন্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঘন ঘন রেগে গেলে হৃদরোগেরও ঝুঁকি বাড়ে। একটুতেই রেগে গেলে মানুষ ধীরে ধীরে ডিপ্রেশন ও বিষন্নতার দিকে চলে যায়। যার ফলে একাকীত্ব খুব তাড়াতাড়ি গ্রাস করে। এছাড়াও শরীরে আরও নানা সমস্যা দেখা যায়।

Latest Videos

 

 

সারাদিন পরিশ্রমের পর আমরা অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে যাই। অফিস,বাড়ি সামলাতে গিয়েই নাভিশ্বাস হচ্ছে। আর তখনই বশি স্ট্রেস লাগে। সেই সময়ে নিজেকে একটু বেশি সময় দিন। কারোর সঙ্গে কথা না বলে নির্জন একটি কোণ বেছে নিন। একটা সময় সবকিছু শূন্য লাগবে, কিন্তু খানিকক্ষণ একা থাকার পর দেখবেন মাথাটাও হালকা লাগছে, রাগও কমে গেছে আর আপনার মনটাও আগের থেকে ভাল লাগছে। কেউ কোনও খারাপ কথা বললে অযথা চিৎকার করে নিজের মাথা গরম করবেন না। ঠান্ডা মাথায় তার সঙ্গে কথা বলুন। কথার মধ্য দিয়েই পুরো বিষয়টিকে সমাধান করার চেষ্টা করুন। মুড অফ থাকলে হাতের কাছে সবথেকে পছন্দের খাবার রাখুন। মাথা গরম হলেই সেই খারাপগুলো খেতে থাকবেন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথা একদম হালকা হয়ে গেছে। এই খাবারগুলিকে মুড বাস্টার বলে। যত এই খাবারগুলি খাবেন তত মনটা ভাল লাগবে।


 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury