ঘুম থেকে ওঠার পর খালিপেটে ইষদুষ্ণ গরম জল আমরা সকলেই খেয়ে থাকি। এই সময়টাতে তা যেন আরও দ্বিগুন বেড়ে গেছে। গলা খুশখুশ করলেই করোনার চিন্তা আঁকড়ে ধরছে। তবে এখন আর শুধু গরম জল নয়, সঙ্গে রাখুন এক টুকরো আদা। ঘুম থেকে উঠে এই আদা জলই করোনা প্রতিরোধে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়,এক গ্লাস ইষদুষ্ণ গরম জল খেলে হাজার কঠিন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন নিমেষে।
ঘুম ভাল হবে
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গিয়েছে , রাতের বেলে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম জল খেলে তা চিন্তা কমাতে ভীষণ সাহায্য করে। কারণ গরম জল খেলে স্নায়বিক উত্তেজনা কমে। এবং স্নায়ুও শিথিল থাকে। যার ফলে নিশ্চিন্তে ঘুম ভাল হয়।।
টক্সিন দূর হয়
ইষদুষ্ণ জল খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়। এবং শরীর ভাল রাখার জন্য টক্সিন দূর হওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। গরম জল খেলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বাড়ে। যার ফলে ঘাম হয়। এর ফলেই শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়।
ভালো হজম হয়
শীতকালে অতিরিক্ত ভাজাভুজি খাওয়ার জন্য খাবার হজম হতে সমস্যা হয়। যার ফলে গ্যাস, অম্বল লেগেই থাকে। যেদিনই রুটিনের বাইরে মেনু থাকবে সেদিন রাতের বেলো ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই এক গ্লাস গরম জল খান। চাইলে অল্প লেবুর রস ফেলেও খেতে পারেন। এতে হজমও যেমন ভালো হবে। তেমনই পেটও পরিষ্কার হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়
শীতকালে জল কম খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন শরীর কষে গিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ইষদুষ্ণ জল খেলে ঘুমালে এই সমস্যাও জলদি কমবে এবং পেটে গ্যাসও জমবে না।
শরীর হাইড্রেট থাকে
শীতকালে এমনিতেই শরীর ড্রাই হয়ে যায়। যতটা পরিমাণে জল খাওয়া দরকার তার চেয়ে অনেক কম খাওয়া হয়। তাই সুস্থ থাকতে অনেক বেশি করে জল খেতে হবে। এবং অবশ্যই ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম জল খেতে হবে এতে শরীর হাইড্রেট থাকে। সারাদিনের জলের সমতা বজায় থাকে।
হার্টকে সুস্থ রাখতে
গরম জল খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক হয়। সেই সঙ্গে ঠিক থাকে রক্তের ঘনত্বও। হার্ট কাজ না করলে শরীরও বিকল হয়ে পড়বে। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতেই প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে খান গরম জল ।