মহামারির আবহেই সামনে এল অবিশ্বাস্য তথ্য। কেন্দ্রের আয়ূস মন্ত্রক ও সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথি (CCRH) এই দুয়ের যৌথ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছিল আর্সেনিকাম অ্যালবাম থার্টি-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। তার মধ্যে ছিল গুজরাট, কেরল, মহারাষ্ট্র-এর মত রাজ্যগুলিও। সম্প্রতি গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আর্সেনিকাম অ্যালবাম থার্টি-এর প্রয়োগের ফলে অভূতপূর্ব ফল মিলেছে। গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটরি জয়ন্তী রবি জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন যারা নিয়ম মেনে হোমিওপ্যাথির এই ওষুধ খেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯৯.৬৯ শতাংশের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
এর আগে সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথি-র ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ অনীল খুরানা জানিয়েছিলেন, আর্সেনিকাম অ্যালবাম থার্টি নিয়ম করে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। এই ওষুধের নির্দিষ্ট ডোজে করোনা সারাতে পারবে, এমন কোনও দাবি করা হয়নি। গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সরকারি হিসাব অনুযায়ী,মার্চ মাস থেকে রাজ্যের প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ মানুষকে আর্সেনিকাম অ্যালবাম থার্টি ওষুধটি দেওয়া হয়। যার জেরে বেশির ভাগের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। এরমধ্যে রিপিট ডোজও রয়েছে। একবার এই ওষুধের কোর্স সম্পূর্ণ করলে দেড় থেকে ২ মাস ওষুধটি সক্রিয় থাকে বলে মনে করা হয়।
গুজরাতের আয়ূস বিভাগের ডিরেক্টর ভাবনা প্যাটেল করোনার অন্যান্য বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে আরও পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন। তবে ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর কাছে আর্সেনিকাম অ্যালবাম-সহ অন্যান্য বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি যে ফলাফল সামনে এনেছে, করোনা রুখতে আয়ূস মন্ত্রকের এই পরামর্শের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। করোনা রুখতে এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ কতটা কার্যকরী, তা এখনও স্পষ্ট নয়।