রোজ পাতে রাখুন ডিম, কিন্তু ভুলেও জোরালো আঁচে অনেক সময় ধরে রান্না করবেন না

ডিম পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় পড়ে। একটি ডিম প্রোটিনের দারুণ একটি উৎস বলেও দাবি করেন পুষ্টিবীদরা। ডিমে রয়েছে ভিটামিন  বি ১২, ভিটামিন এ, অ্যামিনো অ্যাসিড, আয়রন, ফোলেট, বায়োটিন, ভিটামিন ডি, সোডিয়াম। 

Saborni Mitra | Published : May 24, 2022 6:36 PM IST

বিজ্ঞাপণের ক্যাচ লাইন ছিল- সানডে হো ইয়া মানডে রোজ খাও আনডে। ক্যাচলাইনটি পুরোপুরি সত্য। ডিম সুষম খাদ্য। স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। প্রাতঃরাশে যদি একটি করে ডিম খাওয়া যায় তাহলে উপকার দ্বিগুমণ হয়ে যায়। তবে ডিম খাওয়ার আর রান্না করার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। সেগুলি মেনে যদি  নিয়মিত ডিম খাওয়া যায় তাহলেই উপকার পাওয়া যায়। কারণ সঠিকভাবে রান্না না করলে ডিমের প্রোটিনগুলি সঠিকভাবে কাজ করে না। উপকারের পরিবর্তে অপকারই ডেকে আনে। 


ডিম পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় পড়ে। একটি ডিম প্রোটিনের দারুণ একটি উৎস বলেও দাবি করেন পুষ্টিবীদরা। ডিমে রয়েছে ভিটামিন  বি ১২, ভিটামিন এ, অ্যামিনো অ্যাসিড, আয়রন, ফোলেট, বায়োটিন, ভিটামিন ডি, সোডিয়াম। এছা়ড়াও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ লবণও রয়েছে। যদি নিয়মিত আর সঠিকভাবে ডিম খাওয়া যায় তাহলে মানুষের ওজন বৃদ্ধি আর ওজন হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।

এবার এক নজরে দেখে নিন কিভাবে ডিম খেলে আপনি উপকার পাবেনঃ

জলখাবারে ডিম- সকালে ডিম খেলেই বেশি উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা ডিমের তুলনায় রান্না করা ডিম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। ডিম সঠিক তাপমাত্রার রান্না করা জরুরি। কারণ সঠিক তাপমাত্রা ডিমের বিচ্ছিন্ন প্রোটিনদগুলিকে একত্রিত করতে পারে। যা পাকস্থলীতে গিয়ে সহজে হজম হয়ে যায়। ভুলেও ডিম বেশিক্ষণ করে জোরালো আঁচে রান্না করবেন না। তাহলে ডিমের খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। 

নিয়ন্ত্রণ- ডিম কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে ডিম খাওয়া উপকারী হতে পারে। নিয়মিত ডিম খেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। তবে যারা অসুস্থ তারা কখনও ডিম ভেজে  বা ওমলেট করে খাবেন না। তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক হয়ে দাঁড়ায়। 

চোখের স্বাস্থ্য- প্রতিদিন ডিম খেলে চোখের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। ডিমে অ্যান্টি ইনফ্লেনেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ঠের কারণে এটি চোখের পেশির জন্য খুবই উপকারী। 

হাড় মজবুত করে- বর্তমানে ব্যস্ত সময় আর জাঙ্ক ফুড খাওয়ার কারণে অল্প বয়সেই অনেকের  হাড়ের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। তবে নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেই সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি। যা হাড়ের জন্য অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও ডিম খেলে সি থাকে যা সূর্য রশ্মি শুষে নিয়ে হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে। 

Share this article
click me!