হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একটি গবেষণা অনুসারে, যখন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং গাউটের সমস্যা হয়, তখন উচ্চ রক্তে শর্করা অর্থাৎ টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ বেড়ে যায়।
ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে শরীরে নানা সমস্যার জন্ম দেয়। শরীরে তৈরি হয় গেঁটেবাত। যা আমাদের জয়েন্টে প্রচণ্ড ব্যথা, ফোলাভাব এবং অস্বস্তির সৃষ্টি করে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধি টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়, যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একটি গবেষণা অনুসারে, যখন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং গাউটের সমস্যা হয়, তখন উচ্চ রক্তে শর্করা অর্থাৎ টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ বেড়ে যায়।
জেনে রাখা ভালো অনেক গবেষণা এও বলে যে টাইপ টু2 ডায়াবেটিস আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। উভয় পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ যেন না বেড়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে বাঁচায় এই পাঁচটি সুপার ফুড-
আপেল সাইডার ভিনেগার: আপেল সিডার ভিনেগার উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। এর জন্য এক গ্লাস জলে ৩ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করুন। এ ছাড়া কলা আমাদের পটাশিয়াম এবং অনেক খনিজ লবণ সরবরাহ করে। এর প্রতিদিনের সেবন আমাদের রক্ত থেকে বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিড কমায় এবং গাউটের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
লেবু এবং গ্রিন টি: ছোট দেখতে টক লেবু আপনাকে গাউট এবং ডায়াবেটিসের মতো গুরুতর রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। এতে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, যা ইউরিক অ্যাসিড দ্রবীভূত করতে কাজ করে। নিয়মিত খাবারে এটি অন্তর্ভুক্ত করলে আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ে না। এক গ্লাস পানিতে অর্ধেক লেবু ছেঁকে প্রতিদিন পান করুন। এছাড়াও, আজ সবাই গ্রিন টির উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন। এটি আমাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিস হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটির দৈনিক সেবন আশ্চর্যজনকভাবে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড কমায়।
উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার: উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমায়। এটি আমাদের রক্ত থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শুষে নেয় এবং তা শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। খাবারে আপেল, কমলা, ব্রকলি, নাশপাতি, শসা, গাজর ইত্যাদি রাখুন।
এর পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে সয়া মিল্ক, জাঙ্ক ফুড এবং তৈলাক্ত জিনিস একেবারেই খাবেন না। যেহেতু এসবই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করতে পারে। অন্যদিকে, শাকসবজিকে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়, তবে আপনার ইউরিক অ্যাসিড যদি বেড়ে যায়, তবে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউট এবং মাশরুমের মতো সবজি খাওয়া উচিত নয়।