এই সময় খাদ্যাতালিকা থেকে চলাফেরা প্রতিটি পদক্ষেপে রাখতে হয় বিশেষ নজর। এই সময় যে কোনও খাবার খাওয়া চলে না। এমন খাবার খেতে হয় যা বাচ্চা ও মা উভয়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। তেমনই বাচ্চার কথা মাথায় রেখে অনেক খাবার খেতে বারন করা হয়ে থাকে। এই সময় জোয়ান খাওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে নানান প্রশ্ন জাগে। জেনে নিন এই সময় জোয়ান খেলে কী কী উপকার মিলবে।
গর্ভধারণের পর দীর্ঘ ৯ মাস ধরে মায়ের গর্ভে একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠে সন্তান। সন্তানের জন্ম দেওয়া সব মেয়ের জীবনে সব থেকে সুন্দর সময়। এই দীর্ঘ সময় নানান শারীরিক জটিলতা, নানান শারীরিক কষ্ট সহ্য করে সন্তানের জন্ম দিতে হয় একজন মাকে। এই সময় খাদ্যাতালিকা থেকে চলাফেরা প্রতিটি পদক্ষেপে রাখতে হয় বিশেষ নজর। এই সময় যে কোনও খাবার খাওয়া চলে না। এমন খাবার খেতে হয় যা বাচ্চা ও মা উভয়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। তেমনই বাচ্চার কথা মাথায় রেখে অনেক খাবার খেতে বারন করা হয়ে থাকে। এই সময় জোয়ান খাওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে নানান প্রশ্ন জাগে। জেনে নিন এই সময় জোয়ান খেলে কী কী উপকার মিলবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় জোয়ানের গুণে। গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার পেট ফাঁপা, অ্যাসি়ডিটি বা বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন জোয়ান। এতে গর্ভস্থ বাচ্চার কোনও ক্ষতি হয় না।
তেমনই গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিণ্য খুবই সাধারণ বিষয়। এই গর্ভাবস্থায় জোয়ান খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এই সময় কোষ্ঠাকাঠিণ্য থেকে সহজে মুক্তি পেতে পারেন নিয়মিত জোয়ান খেলে।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে সকলের সর্দি, কাশির মতো সমস্যা হয়। গর্ভাবস্থায়ও এমন সমস্যা দেখা যায়। এই সময় জোয়ান খেলে দূর হবে সর্দি, কাশির মতো সমস্যা। এমনকী যারা শ্লেষ্মার সমস্যায় ভোগেন, তারাও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
যে সকল মহিলাদের কোলেস্টেরল আছে। তারা গর্ভাবস্থায় খেতে পারেন জোয়ান। এতে থাকা একাধিক উপাদান ট্রাইগ্লিারয়েডের মাত্রা হ্রাস করতে ও ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম মিলবে উপকার।
গর্ভাবস্থায় জোয়ান খাওয়া নিরাপদ বলেই বিবেচিত হয়। তবে, অবশ্যই পরিমিত খাবেন। তা না হলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এবার থেকে মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম। এই সময় অবশ্যই জোয়ান খান। কিন্তু, তার পরিমাণ যেন বেশি না হয়। তাহলে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। এই সময় সঠিক নিয়ম মেনে খাবার খান। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়ামের মতো একাধিক উপাদান আছে এমন খাবার রাখুন তালিকাতে। আর পর্যাপ্ত জল খান। তা না হলে ডিহাই়ড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।