স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রোটিন ভিটামিন চর্বিজাতীয় খাবার খেলেই নিয়মিত শাকসবজি, ফল, দুধ, দই, পনির, খেতে হবে। নিয়মিত আমন্ড খেতে।
গর্ভধারণ করার প্রথম শর্তই হল সুস্থতা। মা ও বাবার সুস্থতা হবু সন্তানের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের স্বাস্থ্য আর সুস্থতার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে সন্তান ধারন। চিকিৎসকদের অনুমান অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলতা সন্তান ধারণের পথে অন্তরায় তৈরি হতে পারে। অনেকে চিকিৎসক মনে করেন অতিরিক্ত ওজন গর্বাবতীর যাত্রাপথে বাধা তৈরি করতে পারে।
গর্ভাবতী হওয়ার বা সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে সরাব আগে ওজন কমিয়ে ফেলাই শ্রেয়। তাহলে মাও যেমন সুস্থ থাকবে তেমনই সন্তানও সুস্থ হবে। কিন্তু তার জন্য ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। চিকিৎসকদের দাবি সাধারণ কিছু ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ বা যোগাসন , স্বাস্থ্য সম্মত ডায়েটের সহজেই ওজন কমতে পারে। তারজন্য প্রথমেই জরুরি হল মনের ইচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় শরীরের ভর নির্ধারণ করা হয় BMI মাধ্যমে। ১৮.৫ থেকে ২৩ BMI পরিসীমা হল স্বাস্থ্যকর। চিকিৎসকদের কথায় অতিরিক্ত ওজন যেমন গর্ভধারণে সমস্য তৈরি করতে পারে, তেমনই কম ওজনেও সমস্যা হতে পারে।
গর্ভধারণের আগে সাধারণ ওজন থাকলে মায়ের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। গর্ভাস্থ অবস্থায় সন্তানের বাড়ও ঠিক থাকে। অন্যদিকে অতিরিক্ত ওজন সন্তানপ্রসবের পর মায়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি হাইপ্রেসের, ব্লাড সুগারএজাতীয় সমস্যা দেখাতে পারে।
চিকিৎসকদের কথায় অতিরিক্ত ওজনের কারণে হরমোনের অস্বাভাবিকতা তৈরি হয়। যা ডিম্বাস্ফোটন সমস্যা তৈরি করে। মাসিকেকে অনিয়মিত করে তোলে। অতিরিক্ত ওজন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোন তৈরি করে। চিকিৎসকদের কথায় মোটা মায়ের শিশুও জন্মানোর পর বা প্রাপ্তবয়সে অতিরিক্ত ওজনের হয়ে যায়। যাতে তার স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত করে। এদের অনেক সময় টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
গর্ভাস্থ অবস্থায় স্বাস্থ্যকর ওজর জন্য টিপস
স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রোটিন ভিটামিন চর্বিজাতীয় খাবার খেলেই নিয়মিত শাকসবজি, ফল, দুধ, দই, পনির, খেতে হবে। নিয়মিত আমন্ড খেতে।
চিপস, কুকিজ, কেক পেস্ট্রি এড়িয়ে চলুন। কোনও রকম ফাস্টফুড খাবেন না। মিষ্টি খাবার না খাওয়াই শ্রেয়।
নিয়মিত ও নির্ধারিত সময় অন্তর খাবার খান।
প্রয়োজনী জল পান করুন।
চিনি যুক্ত পাণীয় বা সোডা খাবেন না।
গর্ভাস্থ অবস্থায় হাটাচলা করা জরুরি। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
পরিমানমত ঘুম কিন্তু এই অবস্থায় স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী।