খুশকির জ্বালায় অতিষ্ঠ হননি এমন ভাগ্য়বান কমই আছেন। খুশকির জ্বালায় কেউ কিনে আনেন বিশেষ ব্র্য়ান্ডের শ্য়াম্পু, কেউ-বা ব্য়বহার করেন বিশেষ কোনও তেল। কিন্তু তবু খুশকিকে যেন বাগে আনা যায় না কিছুতেই।
চলুন, আজ তাই দেখে নেওয়া যাক, খুশকিকে জব্দ করতে কী ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি বা টোটকা রয়েছে। দু-টেবিল চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মাথার চুলে ম্য়াসাজ করে নিন। সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবেন না। মিনিট দশ-পনেরো রেখএ দিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলুন। ধোয়া হলে, অল্প একটু জলে কিছুটা লেবুর রস নিন। তারপর সেই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। দেখবেন বেশ উপকার হবে।
ঈষদষ্ণু গরম জলে কিছুটা আপেস সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। তারপর সেই জল দিয়ে পুরো চুল ভালো করে ভিজিয়ে নিন। তারপর পুলো চুল আলতো করে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ ওই অবস্থায় রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, স্নান করার খানিকক্ষণ আগেই নয়, বরং আট থেকে দশঘণ্টা আগে চুলে অ্য়াপেল সাইডার ভিনিগার লাগিয়ে নেবেন।
চাইলে অলিভ অয়েল ব্য়বহার করতে পারেন। চুলের গোড়ায় অলিভ অয়েল ম্য়াসেজ করে নিন। তারপর সরু চিরুনি দিয়ে আলতো করে আঁচড়ে নিন। অলিভ অয়েল লাগানোয় খুশকি যখন আলগা হয়ে যাবে, তখন আঁচড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই খুশকি উঠে আসবে চিরুনিতে। চাইলে চুলে কিন্তু নিয়মিত নারকেল তেল ম্য়াসেজ করতে পারেন। মিনিট কুড়ি ম্য়াসেজ করার পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।চাইলে অ্য়ালোভেরা জেল লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে শ্য়াম্পু করে ফেলুন। উপকার পাবেন। চাইলে তিনচামচ শুকনো নুন মাথার চুলে লাগিয়ে রাখুন খানিকক্ষণ। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এমনকি ঈষদষ্ণু গরমজলে বেকিং পাউডার মিশিয়ে চুলে দিন। চাইলে শ্য়াম্পুর সঙ্গেও বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিতে পারেন।