গবেষণা বলছে, ভারতে প্রায় ২০ শতাংশ লোক মানসিক সমস্যায় (Mental Problems) ভুগছেন। কিন্তু, ডাক্তারি (Doctors) পরামর্শ নেন মাত্র ১০-১২ শতাংশ। এই কারণেই বাড়তে রোগ (Illness)। জেনে নিন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কী কী পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হবেন। কোন কোন লক্ষণ দেখলে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন।
জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সমস্যা হলেই আমরা ডাক্তার দেখাই। হার্টের সমস্যা (Heart Disease), ডায়াবেটিস (Diabetes), হাই প্রেসার (High Pressure), কোলেস্টেরল (Cholesterol)- সব রকম রোগের চিকিৎসা করি। কিন্তু, মানসিক স্বাস্থ্যে দিকে তেমন কেউই নজর দেন না। মানসিক সমস্যা (Mental Problem) চরম পর্যায়ে না পৌঁছালে ডাক্তারি পরামর্শ নিতে খুব কম লোককেই দেখা গিয়েছে। গবেষণা বলছে, ভারতে প্রায় ২০ শতাংশ লোক মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু, ডাক্তারি পরামর্শ নেন মাত্র ১০-১২ শতাংশ। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে প্রতিটি মানুষের মানসিক রোগ প্রসঙ্গে সচেতনতা জরুরি। জেনে নিন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কী কী পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হবেন।
সাধারণত, লোকে মানসিক রোগের উপসর্গ চিনতে পারেন না। আর এই কারণে সমস্যা শুরুর প্রথম স্তরে তা ধরা পড়ে না। সারাক্ষণ দুঃখ (Sad) করার স্বভাব থাকে অনেকেরই। এমন অনেকে আছেন যারা শুধুই নেতিবাচক (Negative) চিন্তাভাবনা করেন। সারাক্ষণ বিষণ্ণতা, দুঃখের মতো স্বভাব দেখলে সতর্ক হন। এটা এক ধরনের মেন্টার ডিসঅর্ডার।
সব বিষয়ে ভয়, সব বিষয়ে বিভ্রান্তির মতো লক্ষণ মোটেও স্বাভাবিক নয়। ভয় সকলেই পায়। কিন্তু, কাউকে যদি দেখেন সব বিষয় ভয় পাচ্ছে, ভয়ের জন্য পিছিয়ে যাচ্ছে, তাহলে সতর্ক হন। এমন কি, সব বিষয় বিভ্রান্ত (Confuse) হয়ে যাওয়াও স্বাভাবিক নয়। এমন হলে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে।
সকালে উঠে দেখলেন খুব খুশি। সকলের সঙ্গে গল্প করছে, মজা করছে। বিকাল থেকে হঠাৎ মুখ ভার। কোনও কারণ ছাড়াই রাগ দেখাচ্ছে। মুখ গোমরা করে ঘুরছে। মুড সুইং (Mood Swing) হওয়া স্বাভাবিক। তবে, অত্যাধিক মুড সুইং মোটেও স্বাভাবিক নয়। এমন হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: Corona Virus: 'শরীরে দীর্ঘদিন থেকে যেতে পারে করোনা ভাইরাস' চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে এল গবেষণায়
আরও পড়ুন: Stress Buster Tips: এই সহজ টোটকা মুক্তি দেবে স্ট্রেস থেকে, জেনে নিন কী করবেন
মেন্টাল ডিসঅর্ডার মানেই কেউ পাগল নয়। কারও, মানসিক সমস্যা (Mental Problem) দেখা দিলেই যে হিংসাত্মক আচরণ করবে তাও নয়। ছোট ছোট বিষয় এই সমস্যার লক্ষণ। মানসিক সমস্যার আরও একটি লক্ষণ হল খাদ্যাভ্যাসে বিস্তর পরিবর্তন। হঠাৎ করে প্রচুর খাবার খাচ্ছে, কিংবা একেবারেই খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে, এমন কাউকে দেখলে ডাক্তার দেখান। মেন্টার ডিসঅর্ডার থেকে এমনটা হতে পারে।
সামান্য বিষয়ে ভেঙে পাড়া, কিংবা কথায় কথায় আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করলে বুঝবেন সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেওয়াটা মোটেও স্বাভাবিক নয়। এক্ষেত্রে, শুরুতেই ডাক্তারি পরামর্শ নিন। তা না হলে, পরে সমস্যা দেখা দিতে পারে।