করোনার ভাইরাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ওমিক্রন আক্রান্ত কি না তা সহজে বোঝা সম্ভব নয়। কারণ, শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে কি না তা নির্ধারণ যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে তা হল আরটি-পিসিআর(RTPCR)। আর কেউ ওমিক্রন আক্রান্ত কি না তা জানার জন্য করতে হবে এস-জিন-ড্রপ পরীক্ষা।
দেশে ক্রমেই বেড়েই চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্রে (Mumbai) আক্রান্তের সংখ্যা ১২৮১ জন, রাজস্থানে ৬৪৫ জন। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা। গতকালের রেকর্ড অনুসারে দেশে আক্রান্ত ২ লক্ষের বেশি মানুষ। আর মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুসারে রাজ্যে একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ১৫৫ জন। পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ১১ দিনের মধ্যে প্রায় ১৮ হাজারের দৈনিক সংক্রমণ ঘটেছে। করোনা ভাইরাস ও ওমিক্রনের (Omicron) প্রসার ঠেকাতে মরিয়া সকলে। কিন্তু, প্রতিদিনই লাগাম ছাড়া ভাবে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে করোনার সঙ্গে সঙ্গে ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে বেশ চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। জেনে নিন ওমিক্রন হওয়ার সম্ভাবনা কাদের বেশি।
করোনার ভাইরাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ওমিক্রন আক্রান্ত কি না তা সহজে বোঝা সম্ভব নয়। কারণ, শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে কি না তা নির্ধারণ যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে তা হল আরটি-পিসিআর (RTPCR)। নাক থেকে কিংবা গলা থেকে লালা সংগ্রহ করার পর সেই নমুনাটির আরটি পিসিআর করা হয়। আর কেউ ওমিক্রন আক্রান্ত কি না তা জানার জন্য করতে হবে এস-জিন-ড্রপ পরীক্ষা। এই পরীক্ষা সব জায়গায় হয় না। ফলে কঠিন বোঝা কোনও রোগী ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা। তাই রোগ থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন (Omicron) করোনার তুলনায় কম গতিতে প্রসার লাভ করে। আর এই রোগ সকলের শরীরে সহজে বাসা বাঁধে না। কয় ধরনের রোগীদের শরীরে ওমিক্রন দ্রুত প্রকোপ ফেলে। যে ধরনের রোগীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের শরীরে করোনা সহজে বাসা বাঁধে। এই সময় ডায়াবেটিসের (Diabetes) রোগীরা সতর্ক থাকুন। বিশেষজ্ঞদের মতে তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া, ক্যান্সার রোগীদেরও সতর্কতা প্রয়োজন। যে ধরনোর রোগীরা শরীরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছে। তাদের করোনার কালে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। ওমিক্রন এই ধরনের রোগীদের শরীরে সহজে বাসা বাঁধে। তাছাড়া, ৬০ বছরের বেশি বয়সের লোকের প্রয়োজন সতর্কতা। বয়স ৬০-এর কোটা পার করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সঙ্গে দেখা দেয় নানান জটিলতা। ফলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন না করলে সহজে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্ত হতে পারেন।
আরও পড়ুন: এই কয়টি লক্ষণ বলে দেবে বাড়ছে কোলেস্টেরল, জেনে নিন কী করে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন এই রোগ