'প্রধানমন্ত্রী নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে চলুন', তৃণমূল বিধায়কের করোনা মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে

  • করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা রাজ্য
  • নয়া বিতর্ক উস্কে দিলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক
  • 'জনতা কারফিউ' রাজ্যে কার্যকর হবে তো?
  • প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের

এ রাজ্য় কি 'জনতা কারফিউ'-এর আওতার বাইরে থাকবে? করোনা আতঙ্কের মাঝে নয়া বিতর্ক উস্কে দিলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। তাঁর সাফ কথা, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে চলব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ মানব না। '

হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তদের সংখ্যা।  এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৪ জন। সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়নি এ রাজ্যও। কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দু'জন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত 'জনতা কারফিউ'-এর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারফিউ চলাকালীন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তেরা ছাড়া বাকি সকলেই বাড়ি থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ওইদিন পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, চলবে না মেট্রোও। এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক তখন তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য়ে বিতর্ক তুঙ্গে। 

Latest Videos

আরও পড়ুন: করোনার নাম ভাঁড়িয়ে ডাকাতি, মাস্ক পরে দিনেই সোনার দোকান লুঠ

শুক্রবার হাওড়ার উলুবেড়িয়া স্টেশনে করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা শিবির ও আলোচনার সভা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়ার পূর্ব তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি।  তাঁর বার্তা, 'মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে চলবেন। তিনি  সর্বক্ষণ করোনা নিয়ে ভাবছেন। আর নরেন্দ্র মোদি ভাষণ ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশবাসী আশা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মানুষের কল্যাণের জন্য বা সাহায্য করার জন্য কিছু বলবেন। কিন্তু তেমন কিছু না বলে সাইরেন ও ঘণ্টা বাজানোর কথা বলে আরও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করলেন। রাজ্যবাসীর উচিত, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করা।'

আরও পড়ুন: হোটেল থেকে 'উধাও' মিশর ফেরত অধ্যাপক, করোনা আতঙ্ক রায়গঞ্জে

উল্লেখ্য, শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যবাসীকে আশস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসা করালে সব রোগীই সুস্থ হয়ে যাবেন।' সোমবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে সমস্ত সরকারি অফিসে হাজিরা কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে হাজিরা কমানোর আবেদন জানিয়েছেন বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও। করোনা মোকাবিলা শহরের আরও বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল, এমনকী হাওড়ায় ডুমুরজলা স্টেডিয়ামেও তৈরি হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। শুধু তাই নয়, আগামী ছয়মাস এ রাজ্যে বিনামূল্যে দেওয়া হবে রেশনও। 

Share this article
click me!

Latest Videos

আজ রাজ্যে উপনির্বাচনের (By Election) রেজাল্ট আউট, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা (Vote Counting)
‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
'মাননীয়া আপনার শাড়িতে দুর্নীতির কালো ছোপ ছোপ দাগ' মমতাকে (Mamata) এ কী বললেন অগ্নিমিত্রা ?
WB By Election Result: Naihati-তে সবুজ ঝড়! এক ধাক্কায় এগিয়ে TMC! উল্লাসের আমেজ গোটা এলাকায়