কেন্দ্রীয় সরকারের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ , ভারতীয় বিমান বাহিনীর নতুন শাখা গড়লো কেন্দ্র , নাম দিলো অস্ত্র শাখা সিস্টে

বিমান বাহিনীর অফিসারদের জন্য নতুন শাখা - ওয়েপন সিস্টেম খোলার অনুমোদন দিলো কেন্দ্রীয় মন্ত্রক .এই নতুন  শাখা স্থলভিত্তিক ও বায়ুভিত্তিক অস্ত্রগুলিকে এক ছাদের  তলায় আনবে। এবং  অপারেশনাল  কাজের জন্য ব্যবহৃত  অস্ত্রগুলিকে  একটি সত্তার অধীনে আনবে । 

Bhaswati Mukherjee | Published : Oct 8, 2022 10:40 AM IST / Updated: Oct 08 2022, 04:14 PM IST

কেন্দ্রীয় সরকার এবার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিলো ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য। বিমান বাহিনীর অফিসারদের জন্য নতুন শাখা - ওয়েপন সিস্টেম খোলার অনুমোদন দিলো কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। চন্ডিগড়ে এআইএফ এর ৯০ টম উত্থাপন দিবসের প্যারেডের সময় এই কথা ঘোষণা করলো ভারতীয় বায়োসেনার প্রধান এসিএম ভিআর চৌধুরী। তিনি বলেন " স্বাধীনতার পর এটি ভারতীয় বিমানবাহিনীতে তৈরি প্রথম অপারেশনাল শাখা। ফ্লাইং ট্রেনিংয়ের জন্য প্রতিবছর যে পরিমান ব্যয় হয় তা সাশ্রয়ের জন্যই প্রধানত তৈরী হয়েছে এই শাখা।  এবং এই শাখাটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারের মোট ৩৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। 

নতুন অস্ত্র সিস্টেম শাখা কি করবে?

এই নতুন অস্ত্র সিস্টেম শাখা স্থলভিত্তিক ও বায়ুভিত্তিক  যে অস্ত্রগুলি প্রধানত প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয় সেগুলিকে এক ছাদের  তলায় আনবে। এবং যেকোনো অপারেশনাল  কাজের জন্য যে অস্ত্রগুলি নেওয়া হবে সেগুলি একটি সত্তার অধীনে একীভূত থাকবে। জানা গেছে এই নতুন শাখায় যে অস্ত্রগুলি রাখা হবে তাদের মধ্যে থাকবে সারফেস মিসাইল , সারফেস টু এয়ার মিসাইল , রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্র্যাফট এবং টুইন ও মূলত ক্রু এয়ারক্র্যাফট। প্রধানত এই অপেরাটরগুলি চারটি বিশেষ স্ট্রিমের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন  ভারতীয় বায়ুসেনার এই শাখাটি যুদ্ধের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক অবদান রাখবে।  

অগ্নিপথ প্রকল্প

অগ্নিপথ স্কিমের মাধ্যমে আইএএফ-এ বিমান যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করা একটি চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন  এসিএম চৌধুরী। তিনি আরও বলেন যে "  গুরুত্বপূর্ণ হলো এই  প্রকল্প  ভারতীয় যুবাদের সম্ভাবনাকে আরও প্রসারিত করবে এবং এবং একটি প্রজন্মকে জাতির সেবার উদেশ্যে চালিত করব।" তিনি আরও বলেন যে, যারা অগ্নিবীর প্রকল্পে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন, তাদের কর্মজীবন শুরু করার আগে সঠিক দক্ষতা বা জ্ঞান প্রদানের উদেশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক এই অপারেশনাল প্রশিক্ষণ শাখা তৈরী করা হয়েছে।আগামী  ডিসেম্বরে ৩০০০ অগ্নিবীর বায়ুতে নিয়োগ করা হচ্ছে। পরের বছর থেকে মহিলা প্রার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তার আগেই  সঠিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি গড়ে তোলার জন্য তৎপরতা দেখাচ্ছে সরকার। 

মহাকাশ এবং সাইবার যুদ্ধের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমরা হাইব্রিড ওয়ারফেয়ারের আকারে এই সমস্ত ডোমেনের ধারাবাহিকতা একত্রিত করছি । গতিগত উপায়গুলির  পরিপূরক হিসাবে  নন-কাইনেটিক এবং নন-থাল ওয়ারফেয়ারের ব্যবহার করছি  । যুদ্ধের প্রকৃতি বিচার করে ব্যবস্থা নেওয়া এবং আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করার যাবতীয়  সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই শাখা থেকেই। "

জয়েন্টনেস
", যুদ্ধ শক্তির সমন্বিত এবং যৌথ প্রয়োগের কথা মাথায় রেখেই এই শাখা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে ৷ মাল্টিডোমেন অপারেশনে সাফল্যের চাবিকাঠি খুবই সহজ। শক্তিশালী এবং অপ্রয়োজনীয় কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো যৌথ বাহিনীগুলিকে একসাথে  জুড়েই কাজ করবে
"কোনও একক পরিষেবা একা যুদ্ধে জিততে পারে না। তাই এই অস্ত্র সিস্টেম শাখা প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলির মধ্যে যৌথতা বাড়াতে কাজ করবে "

আরও পড়ুন এয়ার ফোর্স ডেতে বায়ুসেনার ওয়েপন সিস্টেম ব্রাঞ্চ প্রতিষ্ঠার অনুমোদন, পেল নতুন যুদ্ধের ইউনিফর্মও

আরও পড়ুন অনুশীলন করার সময় ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণে নিহত নদীয়ার ২৩ বছরের সুকান্ত মণ্ডল

আরও পড়ুনমেরামতির পর হাল ফিরলো বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, আজ থেকেই পরিষেবা দেবে ট্রেনটি

Share this article
click me!