রবিবার গভীর রাতে গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার গোধরা সাব জেলে ধরা দিয়েছে ১১ জন ধর্ষক।
২০০২ সালে গুজরাটের গোধরায় একটি ট্রেনে আগুন লেগে মৃত্যু হয় প্রচুর মানুষের, সেই ঘটনায় শুরু হয় হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। ২১ বছর বয়সি মুসলমান গৃহবধূ বিলকিস বানো তখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তাঁকে গণধর্ষণ করে তাঁর ৩ বছরের মেয়ে-সহ পরিবারের ৭ জনকে খুন করে ধর্ষকরা। সেই ঘটনায় ১১ জন অপরাধীর জেল হয়, যাদের ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট আদালত। সেই অপরাধীদের আবার জেলে বন্দি করল সুপ্রিম কোর্ট।
-
১৫ অগাস্ট মুক্তির পর ধর্ষকদের গলায় মালা পরিয়ে বরণ করে নিয়েছিল গুজরাটের প্রশাসনিক প্রতিনিধিরা। তাদের আবার জেলবন্দি করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano) । বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ান জানিয়েছিলেন যে, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও অধিকারই নেই গুজরাত সরকারের। খুন এবং ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকে ২ সপ্তাহের মধ্যে জেলে ফিরতে হবে বলে রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
-
আত্মসমর্পণ করার জন্য বাড়তি সময় চেয়েছিল অপরাধীরা। দীর্ঘ দিন গা ঢাকা দিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল প্রত্যেকেই। কিন্তু, সু্প্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, ধর্ষকদের দু’দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতেই হবে। সেই রায় মেনে রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আত্মসমর্পণ করল ১১ জনই। গুজরাতের পঞ্চমহল জেলায় গোধরা সাব-জেলে গিয়ে ধরা দিয়েছে প্রত্যেক দোষী।