উপত্যকার রাজনীতিতে হলচল, মাত্র ১৬ মাসেই নিজের তৈরি দল ছাড়লেন আইএএস টপার শাহ ফয়জল

  • ২০১০-এর আইএএস পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান পেয়েছিলেন শাহ ফয়জল
  • জম্মু-কাশ্মীর সরকারের বিশেষ সচিব পদে ৮ বছর কাজ করেন
  • গত বছর  সেই পদ ছেড়ে রাজনীতিতে অভিষেক ঘটান
  • জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার সময়ে তাঁকেও গৃহবন্দি করা হয়

Asianet News Bangla | Published : Aug 11, 2020 2:45 AM IST / Updated: Aug 11 2020, 08:18 AM IST

২০১০-এর আইএএস পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিলেন তিনি। তবে ১০ বছর না কাটতেই সেই প্রশাসনিক কাজ ছেড়ে তৈরি করেছিলেন উপত্যকায় নিজের  রাজনৈতিক দল জম্মু কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে অভিষেকের মাত্র ১৬ মাসের মধ্যেই নিজের তৈরি দল থেকে ইস্তফা দিলেন কাশ্মীরি যুবক শাহ ফয়জল। তাঁর এই  সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে উপত্যকার রাজনীতিতে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। 

জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন এই তরুণ আইএএস ২০১৯-এর মার্চে জেকেপিএম দলের প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু সোমবার হঠাৎ করে দল তথা রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে দলের সর্বোচ্চ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আইএএস টপার শাহ ফয়জল। ডঃ শাহ ফয়জল দলের রাজ্য সদস্যদের জানিয়েছেন, তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে নেই। তাই দলের সব দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান। 

আরও পড়ুন: চিনের দাদাগিরির প্রতিবাদ, ভারতীয়দের সঙ্গে জোট বাঁধল তিব্বত, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের নাগরিকরা

শাহ ফয়জলের দলের তরফে বিবৃতি  দেওয়া হয়েছে, "আমাদের দলের সভাপতি কার্যকরী কমিটিকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অবস্থায় নেই। এমনকি, দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতিও চেয়েছেন তিনি। তাই তাঁর এই অনুরোধ গ্রহণ করে আলি ফয়জলকে আগামি দিনের জন্য অভিনন্দন জানানো হলো।"

তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে ব্যাপারে তিনি নিজে কিছু না বললেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে যে তিনি আবার প্রশাসনেই ফিরে আসোতে চান।  বছর ৩৭-এর এই প্রাক্তন আইএএস ২০১০-এর ইউপিএসসি পরীক্ষায় মেধাতালিকার শীর্ষে ছিলেন। তারপর থেকে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের বিশেষ সচিব পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমলা ছিলেন ফয়জল। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে সেই পদ ছেড়ে রাজনীতিতে অভিষেক ঘটান। তৈরি করেন নিজের রাজনৈতিক দল। তাঁর মূল প্রতিবাদ ছিল, কাশ্মীরিদের ওপর দমনপীড়ন এবং ভারতীয় মুসলিমদের ওপর আগ্রাসন।

আরও পড়ুন: তিরুপতিতে করোনা আক্রান্ত ৭৪৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, মন্দির খোলা রাখা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে বিতর্ক

২০০২ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ফয়জলের বাবা। কিন্তু তার পরেও ফয়জল মনে করেন, কাশ্মীরের সমস্যা একমাত্র ভারত আর পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে আলোচনার মধ্যে দিয়েই মিটিয়ে নিতে পারে। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর তাঁকেও জম্মু ও কাশ্মীরের বাকি নেতাদের মতো বন্দি থাকতে হয়েছিল জেলে। গত মাসে ছাড়া পেয়েছিলেন শাহ ফয়জল। তারপরেই এমন সিদ্ধান্ত। 
 

Share this article
click me!