ভারতের এক চতুর্থাংশ জেলার রঙই 'লাল', 'সাদা' হল করোনা-ধ্বস্ত আরও ২০৭টি

ভারতে সবমিলিয়ে জেলার সংখ্যা ৬৪০টি
তারমধ্যে এক চতুর্থাংশই এখন করোনাভাইরাস হটস্পট
আরও ২০৭ টি জেলা হটস্পট হওয়ার মুখে
গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১০৭৬ জন

 

amartya lahiri | Published : Apr 15, 2020 2:02 PM IST / Updated: Apr 16 2020, 11:41 AM IST

ভারতে সবমিলিয়ে জেলার সংখ্যা ৬৪০টি। তারমধ্যে ১৭০ টি অর্থাৎ প্রায় এক চতুর্থাংশই বর্তমানে করোনাভাইরাস হটস্পট। তাদের রেড বা লাল জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আরও ২০৭ টি জেলাকে রাখা হয়েছে সম্ভাব্য হটস্পট-এর তালিকায়। তাদের রঙ সাদা। আর যে ৩৫৩টি জেলায় করোনা দাঁত ফোটাতে পারেনি, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে সবুজ জোন হিসাবে। বুধবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই তথ্য দেওয়া হল।

তবে, দ্বিতীয় লকডাউনে আগের মতো বসে নেই, সরকার। বিশেষ সরকারি দল হটস্পটগুলির কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। সকলের পরীক্ষা করা হচ্ছে। শুধু কোভিড-১৯ রোগের পরীক্ষাই নয়, সেইসঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রান্ত অসুস্থতা এবং তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে লাল, সাদা ও সবুজ এলাকাগুলি চিহ্নিতও করা হচ্ছে। রেড জোনগুলিতে কঠোর লকডাউন প্রয়োগ করা হবে।

৩৭টি জেলার মধ্যে ২২ টি হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত হওয়ায় সর্বাধিক রোড জোন তামিলনাড়ুতে। এছাড়া মহারাষ্ট্রে ১৪টি, উত্তর প্রদেশের ১৩, রাজস্থানের ১২, অন্ধ্রপ্রদেশের ১১ এবং দিল্লিতে ১০ টি জেলা রেডজোন-এর মধ্যে রয়েছে। নয়টি হটস্পট জেলা নিয়ে তালিকায় এরপর রয়েছে তেলাঙ্গানা, তার পরে পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর এবং কর্ণাটক - এই তিন রাজ্যের আটটি করে জেলা লাল, কেরল এবং গুজরাতে সাতটি করে, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানায় ছয়টি করে, অসম, হিমাচলপ্রদেশে পাঁচটি করে জেলা, এবং বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের চারটি করে জেলা রেড জোনে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যান মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সমস্ত রোগী সুস্থ না হয়ে গেলে, এবং নতুন কোনও রোগী সনাক্ত না হলেও আগামী ২৮ দিন পর্যন্ত রেড জোন বা হটস্পট এলাকাগুলিতে বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে। গ্রামাঞ্চলে হটস্পটগুলির ব্যাসার্ধ ধরা হচ্ছে ৩ কিলোমিটার  থাকবে। আর কমলা রঙে চিহ্নিত এবং বাফার জোনগুলির ব্যাসার্ধ ৭ কিলোমিটার। হটস্পটের এপিসেন্টার, অর্থাৎ রোগ ছড়ানোর কেন্দ্রস্থল কোনটি, তা নির্ধারণ করতে হবে রাজ্য ও জেলা প্রশাসন-কে। তবে শহরাঞ্চলে এই বিষয়গুলি নির্দিষ্ট করা কঠিন হবে বলেই জানিয়েছে মন্ত্রক।

করোনা-কে পাল্লা দিয়ে লকডাউনের শিকার ২০০, লাভ-ক্ষতির মাপতে গেলে ধরতেই হবে এই হিসাব\

কাজ দিল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, দারুণ স্বস্তি মার্কিন মুলুকে আটকে থাকা কয়েক হাজার ভারতীয়ের

একসঙ্গে পাঁচটি নমুনার পরীক্ষা, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আইসিএমআর'এর নয়া কৌশল 'পুল টেস্টিং'
সেইসঙ্গে মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, রাজ্যগুলিকেই জানাতে হবে, তাদের রাজ্যে কোথায় কোথায় ভাইরাসটি কী হারে ছড়াচ্ছে। রোগীর সংখ্যা কী হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই কেন্দ্র করোনাভাইরাস হটস্পটগুলির তালিকা সংশোধন করবে। একটি একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হবে লে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল।

মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর রাতের মধ্যেই এই বিষয়ে আদেশনামাও তৈরি করে কেন্দ্র। এদিন, লকডাউনে কী কী করা যাবে আর কী কী করা যাবে না, সেই সম্পর্কে বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপেক্ষাকৃতভাবে করোনাভাইরাস মুক্ত অঞ্চলগুলিতে কীভাবে কয়েকটি পরিষেবা ফের চালু করা যাবে তারও প্রক্রিয়া জানানো হয়েছে।

এদিন স্বাস্থ্য় ও পরিবার কল্য়ান মন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মোট কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১,৪৩৯। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগীর সংখ্যাটা বেড়েছে ১,০৭৬ জন। আর কোভিড-১৯ রোগে ভারতে মৃতের সংখ্যা ৩৭৭।

Share this article
click me!