৩ দিনেই চিহ্নিত ৩০০০০-এরও বেশি 'নাগরিক', যোগীরাজ্যে পথচলা শুরু সিএএ-র

  • তিনদিন আগেই সিএএ ২০১৯ কার্যকর হয়েছে
  • উত্তরপ্রদেশে নয়া নাগরিকদের চিহ্নিত করা শুরু হল
  • তবে এই বিষয়ে সরকারি পরিসংখ্যানেই গড়মিল পাওয়া যাচ্ছে
  • কীভাবে তাঁদের সনাক্ত করা হচ্ছে তাও জানায়নি যোগী সরকার

 

তিনদিন আগেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ কার্যকর করা হয়েছে। আর এরমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথ-এর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে সরকার এই আইনের অধীনে যারা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে, তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় রাজ্যের ২১টি জেলা থেকে এরমধ্যেই প্রায় ৩২,০০০ যোগ্য লোককে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে যোগী সরকার।

তবে কীভাবে তাঁদের সনাক্ত করা হচ্ছে সেই সম্পর্কে কিছু পরিষ্কার করে জানানো হয়নি। সিএএ কার্যকর করা হলেও এই আইন বাস্তবায়নের নিয়ম এখনও তৈরি হয়নি। আইনের প্রস্তাবনায় রয়েছে তিন প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার অমুসলিম শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কতা। কিন্তু তাঁরা সত্যিই ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়েই ঘর ছেড়ে এসেছেন, তা কীবাবে জানা যাবে তাও স্পষ্ট নয়।

Latest Videos

তবে সিএএ নিয়ে তাঁরা কোনওরকম তাড়াহুড়ো করছেন না বলেই দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী তথা সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, আইনটি চালু হওয়ার পর তো যে কাজগুলো করতে হবে, সেই কাজগুলিই সবেমাত্র শুরু করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে। সেই মতো পরিসংখ্যান আপডেট করা হবে। আপাতত এই বিষয়ে সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সমীক্ষা চালাতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও এই তালিকা পাঠানো হবে।

তবে সরকারি এই পরিসংখ্যান নিয়ে এরমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য এমন চিহ্নিতদের বেশিরভাগই পিলিভিট জেলার। উত্তরাখণ্ডের নিকটে ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী এই জেলার এক শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তা গত শুক্রবার দাবি করেছিলেন, 'প্রাথমিক সমীক্ষায়' বাংলাদেশ তথা সাবেক পূর্ব পাকিস্তান থেকেই ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে এই জেলায় আসা প্রায় ৩৭,০০০ শরণার্থী-কে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের নাম রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। কেন সরকারি পরিসংখ্যানে এত গড়মিল তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

সিএএ আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই আইনের বিরোধিতা হচ্ছে। তার মধ্যে উত্তরপ্রদেশে এই আইনের বিরধিতায় সর্বাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এর মোকাবিলায় দারুণ কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র-কেও। গত মাসে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৩০০-রও বেশি পুলিশকর্মী আহতও হয়েছেন। তবে এত বিরোধিতার মধ্যেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যে আইন একববার পাশ হয়ে গিয়েছে, তাকে আর কোনওভাবেই ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari Live: এগরায় জনসভা শুভেন্দুর, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
'একটা আস্ত অশিক্ষিত...গোটা রাজ্যটাই জঙ্গিদের হাতে' কড়া বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari
Viral Video! আবাসের টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন TMC কর্মী | Murshidabad Latest News
‘Bangladesh-কে মারতে হবে না চোখ দেখালেই যথেষ্ঠ’ বাংলাদেশকে ধুয়ে দিলেন Dilip Ghosh | Bangladesh News