ছত্তিশগড়ের বিলাপুর জেলার এক গ্রামে একে একে মৃত্যু হল ৪০টি গরুর। যা ঘিরে এলাকায় এখন রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে গ্রামের পঞ্চায়েত ভবনে রাখা হয়েছিল গরুগুলিকে। শ্বাস অবরুদ্ধ হয়েই গরুগুলি মারা গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
বিলাসপুরের তখতপুরের মেদাপুর গ্রামে ওই পঞ্চায়েত ভবন থেকে আরও ২০টি গরুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গেছেন জেলার আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীতে, সহকর্মীকে গুলি করে আত্মঘাতী হলেন সিআরপিএফ আধিকারিক
বিলাসপুরের জেলাশাসক ডঃ সর্নেশ মিতার জানান, "প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে গ্রামের ওই পঞ্চায়েত ভবনের একটি বদ্ধ কুঠুরিতে গত কয়েকদিন হল ৬০টি গরুকে রাখা হয়েছিল। গ্রাম সরপঞ্চের নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ২০টি গরুকে উদ্ধার করতে পেরেছি, বাকি ৪০টি গরু দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছে।"
উদ্ধার হওয়া গরুগুলির চিকিৎসা করতে পশুচিকিৎসকদের একটি দল ইতিমধ্যে ওই গ্রামে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধান মালিকদের অনুমতি না নিয়েই গরুগুলিকে পঞ্চায়েত ভবনের কুঠুরিতে আটকে রাখেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। গরুগুলির মালিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দিয়েছেন জেলাশাসক।
আরও পড়ুন: লাগেজের মধ্যে ৬৬ লক্ষ টাকার সিগারেট, দুবাই থেকে ফিরেই বিমানবন্দরে গ্রেফতার ১৩ পরিযায়ী
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশও। পঞ্চায়েত ভবন থেকে মৃত গরুগুলিকে বার করার কাজ চলছে। জেলাশাসকের নির্দেশ মত এফআইআর হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিলাসপুরের এসপি প্রশান্ত আগরওয়াল।
চলতি বছর জুনেই ছত্তিশগড় সরকার রাজ্যের সমস্ত গ্রামে "রোকা-ছেকা অভিযান" চালু করেছেন। যার লক্ষ্য হল খরিফ ফসলকে গবাদি পশুদের হাত থেকে রক্ষা করা।
জুনে, ছত্তিশগড় সরকার রাজ্যের সমস্ত গ্রামে "রোকা-ছেকা অভিযান" চালু করেছিল, যা প্রচলিত কৃষি পদ্ধতি পুনরুদ্ধার করতে এবং বিপদগ্রস্ত গবাদি পশু দ্বারা খরিফ ফসলকে খোলা চারণ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু রাজ্যের অনেক গ্রামেই গরুদের থাকার জন্য গো-শালার ব্যবস্থা নেই। সেইজন্য সুরজ গাঁও যোজনায় রাজ্যে ৫০০০টি গোশালা নির্মানের পরিকল্পনা নিয়েছে ছত্তিশগড় সরকার। পাশাপাশি চারণভূমিতে চড়ে বেড়ানো গবাদি পশুদের সেই গো-শালায় নিয়ে আসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গ্রামপ্রধানদের হাতে।