দেখতে দেখতে ৯০ দিন পার করে দিয়েছে দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষক আন্দোলন। এখনও আন্দোলনকারী কৃষকরা তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছেন। এই অবস্থায় দেশ জুড়ে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির কাজেও জোর দেওয়া হচ্ছে। একের পর এক রাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত। রাজস্থানে সেরকমই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবারও সংসদ অভিযানের ডাক দিয়েছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত।
প্রতিহিংসা রাজনীতি হচ্ছে, অভিষেকের সঙ্গে রাকেশ সিং-এর তুলনা করে সরব বিজেপি নেতা দিলীপ ঘ
দুর্ঘটনার কবলে টাইগার উডসের গাড়ি, ২টি পায়ে ভয়ঙ্কর চোট পেয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন ...
রাজস্থানের শিখরে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত বলেছেন আগামী দিনে সংসদ অভিযান করা হবে। আর সেই সময় ৪ লক্ষ নয় ৪০ লক্ষ ট্র্যাক্টর অভিযানে সামিল হবে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার না করে তাহলে এই অভিযান হবে বলেও জানিয়েছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার না করে প্রতিবাদী কৃষকরা সংসদ ঘেরাও করবেন। আর সেইজন্যই প্রতিবাদী কৃষকদের প্রস্তুত থাকতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাকেশ টিকাইত আরও বলেছেন, যে কোনও সময়ই দিল্লি অভিযানের ডাক দেওয়া হতে পারে। সংসদ অভিযানের কর্মসূচি ও দিনক্ষণ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে সংযুক্ত কিষাণমোর্চা।
এদিন কথা প্রসঙ্গে রাকেশ টিকাইত ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্র্যাক্টর ব়্যালিকে কেন্দ্র করে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল তা নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন সেই সময় কৃষক আন্দোলনে বদনাম করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আন্দোলনকারি অন্নদাতারা দেশকে ভালোবাসেন। তাঁরা সম্মান করেন জাতীয় পতাকাকে। দেশের সংবিধানকে অসম্মান করার কোনও অভিপ্রায় তাদের নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে আরও ব্যাপ্তি দিতে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পাগড়ি সামাল দিবস পালন করবেন তারা। আগামিকাল পালন করা হবে দমন বিরোধী দিবস। আন্দোলনকারীদের ওপর নিপীড়ন রুখতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে রাকেশ টিকাইত স্পষ্ট করে দিয়েছেন নতুন তিনটি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা পিছিয়ে আসবেন না। প্রতিকূলতার মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।