উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদে (Ghaziabad) উদ্বোধন হল পঞ্চম আধার পরিষেবা কেন্দ্রের। উপস্থিত ছিলেন ভিকে সিং (Gen. VK Singh), রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar) এবং সৌরভ গর্গ (Sourav Garg)।
সারা দেশে মোট ১৬৬ টি আধার পরিষেবা কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই (UIDAI)। তারমধ্যে ৫৮ টি কেন্দ্র ইতিমধ্যেই কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। গত রবিবার, ২১ নভেম্বর, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদে (Ghaziabad) শহরের পঞ্চম আধার পরিষেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন, মহাসড়ক এবং অসামরিক বিমান চলাচল দফতরে প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং (Gen. VK Singh)। উপস্থিত ছিলেন, ইলেক্ট্রনিক্স এবং আইটি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar) এবং ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সিইও সৌরভ গর্গ (Sourav Garg)।
এই অনুষ্ঠানে সৌরভ গর্গ বলেন, সারা দেশের ১২২ টি শহরে ১৬৬ টি আধার পরিষেবা কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা করেছে ইউআইডিএআই। তিনি আরও জানান, দেশের জনগণের সুবিধার কথা মাথায় রেখে, সবকটি আধার কেন্দ্রগুলিকেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে কেন্দ্রগুলিতে এসে সাধারণ মানুষ আরাম পায়। সকলের জন্য বসার ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়া, এই আধার কেন্দ্রগুলি ভিন্নভাবে-সক্ষমদের চাহিদার কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। কেন্দ্রগুলির নকশা করার সময়ই মাথায় রাখা হয়েছে, যাতে বিশেষভাবে সক্ষমদের কোনও ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়।
আরও পড়ুন: Kangana Ranaut: বিপাকে কঙ্গনা, 'খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী' মন্তব্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
অন্যদিকে, ইলেক্ট্রনিক্স এবং আইটি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) যখন ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India) প্রকল্প চালু করেছিলেন, তার উদ্দেশ্য ছিল, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সরকারি কাজে আরও দক্ষতা আনা, স্বচ্ছতা আনা এবং পরিবর্তন আনা। আধারের সঙ্গে ৩১৩টি কেন্দ্রীয় ও ২৫০টি রাজ্য সরকারি প্রকল্প জড়িত। এর ফলে গত ৬ বছরে ১.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা বাঁচিয়েছে সরকার। তিনি আরও জানান, আধারের সঙ্গে এই প্রকল্পগুলি যুক্ত হওয়ার আগে সরকারি প্রকল্পের এইসব অর্থের একটা বড় অংশ যেত অবৈধ ভোগকারীদের পকেটে।
দেশের নাগরিকরা, এই পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে এসে নতুন আধার কার্ড তৈরির জন্য নাম নথিভুক্তিকরণ থেকে শুরু করে আধার কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন, অন্য কোনও তথ্য পরিবর্তন, আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর এবং ইমেল যুক্ত করার মতো পরিষেবাগুলি পেতে পারেন। বর্তমানে ভারতে প্রায় সমস্য় সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেই আধার কার্ড অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ব্যাঙ্ক, রেশন, স্কুলে ভর্তি বা কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।