Parliament: নজিরবিহীন ঘটনা সংসদে, রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে সাসপেন্ড ৯২ জন সাংসদ

রাজ্যসভা থেকে কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, ডিএমকের কানিমোঝি, আরজেডির মনোজ কুমার ঝাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

 

Saborni Mitra | Published : Dec 18, 2023 6:02 PM IST / Updated: Dec 18 2023, 11:34 PM IST

নজিরবিহীন ঘটনা সংসদে। সোমবার রাজ্যসভা কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ, রণদীপ সুরজেওয়ালা, কেসি বেনুগোপাল-সহ ৪৫ জন রাজ্যসভার বিরোধী সাংসদে শীতকালীন বাকি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর আগেই লোকসভার ৩০ জন বিধায়করে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে এদিনই একধাক্কায় ৭৮ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনে ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেছিল। নিরাপত্ত লঙ্ঘন ইস্যুতে এর আগে গত সপ্তাহে ১৪ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।

রাজ্যসভা থেকে কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, ডিএমকের কানিমোঝি, আরজেডির মনোজ কুমার ঝাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন রাজ্যসভায় বিরোধী সাংসদদের বিশৃঙ্খলার সময় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেছিলেন, 'অনেক সদস্য ইচ্ছেকৃতভাবে বেঞ্চকে উপেক্ষা করেছেন। বিঘ্নের কারণে হাউসে কাজ করা যাচ্ছে না।'

 

 

তবে বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, বিরোধী-হীন সাংসদের সঙ্গে সরকার এখন গুরুত্বপূর্ণ মুলতুবি আইনগুলিকে বুলডোজ করতে পারে। কোনও বিতর্ক ছাড়াই যে কোনও ভিন্নমতকে চূর্ণ করতে পারে। বিরোধী মতকে ভেঙে দেওয়ার জন্যই এজাতীয় পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। সাসপেন্ড হওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জয়রাম রমেশ বলেছিলেন, সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিতে অস্বীকার করেছেন। সেই কারণেই বিরোধীরা প্রতিবাদ করছে।

এদিন লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরই কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করেছে। সাংসদকে বিজেপির সদর দফতরে পরিণত করেছে। অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে বিরোধীরা সরকারপক্ষকে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু তার প্রতিবাদনে বিজেপি সরকার বিরোধীদের সঙ্গে বিমাতা সুলভ আচরণ করছে। তিনি আরও বলেন, এই সরকার স্বৈচারের শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তার ওপর ভর করে তারা সংসদে লাঠি ঘোরাচ্ছে।

Share this article
click me!