বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরোধিতার একদিনের মাথায় 'হাত' ছাড়লেন অনিল কে. অ্যান্টনি, কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ তরুণ তুর্কি নেতার

গতকালই ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্রর বিরোধিতা করে টুইট করেন অ্যান্টনি। এই টুইটের পরের দিনই দল থেকে পদত্যাগ করলেন অনিল কে. অ্যান্টনি।

বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্রর বিরোধিতার একদিনের মাথায়ই 'হাত' ছাড়লেন কেরলের তরুণ তুর্কি নেতা অনিল কে. অ্যান্টনি। ২৫ জানুয়ারি সকালেই টুইট করে নিজের পদত্যাগ ঘোষণা করলেন অ্যান্টনি। কংগ্রেসের সমস্ত পদ পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। অ্যান্টনি কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ডিজিটাল মিডিয়ার আহ্বায়ক ছিলেন,পাশাপাশি AICC সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল কমিউনিকেশন সেলের জাতীয় কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। উল্লেখ্য গতকালই ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্রর বিরোধিতা করে টুইট করেন অ্যান্টনি। এই টুইটের পরের দিনই দল থেকে পদত্যাগ করলেন অনিল কে. অ্যান্টনি।

 

Latest Videos

 

গতকাল বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অনিল কে. অ্যান্টনি। টুইটবার্তায় তিনি জানিয়েছিলেন, বিজেপির সঙ্গে মত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমি মনে করি যারা বিবিসির দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করছেন তাঁরা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে যা আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করবে। প্রসঙ্গত, অনেকদিন ধরেই কংগ্রেসে নিজের জায়গা হারাচ্ছিলেন অ্যান্টনি। যুব কংগ্রেসের সভাপতি শফি পারম্বিলের সমালচনা থেকে শুরু করে তাঁর কার্যকলাপ একের পর এক রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছিলেন।

 

 

প্রসঙ্গত, বিবিসির তৈরি 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া— দ্য মোদী কোয়েশ্চেন'-এর উপর ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এই ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় গুজরাতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি এই তথ্যচিত্র আজ সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দেখানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু এই 'বিতর্কিত' তথ্যচিত্র দেখানোর অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের অফিসের বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া— দ্য মোদী কোয়েশ্চেন' নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারেও বাধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি ইউটিউব ও টুইটারেও এই তথ্যচিত্র সংক্রান্ত যাবতীয় লিঙ্ক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই মনোভাবকে মোদী সরকারের 'অসহিষ্ণুতা' বলেও উল্লেখ করেছেন অনেকে। এবার এই তথ্যচিত্র গোটা রাজ্যে দেখানোর ব্যবস্থা করছে সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই।

Share this article
click me!

Latest Videos

দেবের সামনেই! ঘাটালে TMC-র শত্রু TMC! Dev ও শঙ্কর অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি | Ghatal | Dev |
২৬ এর নির্বাচনে কী থাকবেন ফিরহাদ হাকিম? বাতলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য #shorts #shortsfeed #bjp #tmc
হাড়োয়ায় তৃণমূল জিততেই বিজেপি প্রার্থীর জমি তচনচ, ক্ষোভ উগরে যা বললেন Samik Bhattacharya
Sukhendu Sekhar কী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে? জল্পনা উস্কে যা বললেন Agnimitra Paul
তন্ত্রযোগ? নাকি বৌমা ও ছেলেকে শিক্ষা দিতেই...আটক দাদু, ঠাকুমা ও জেঠিমা | Hooghly News Today