নাগাল্যান্ড বিধানসভার মেয়াদ ১২ মার্চ, মেঘালয় বিধানসভার ১৫ মার্চ এবং ত্রিপুরা বিধানসভার ২২ মার্চ শেষ হতে চলেছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় বিজেপির সরকার রয়েছে। যেখানে নাগাল্যান্ডে এনডিপিপির নেফিউ রিও মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ভোট হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অ্যাপ অনুসারে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত নাগাল্যান্ডে ৮১.৯৪% এবং মেঘালয়ে ৭৪.৩২% ভোট পড়েছে। ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই রেকর্ড পরিমাণ ভোট হয়েছে। দোসরা মার্চ একযোগে তিনটি রাজ্যের ভোট গণনা হওয়ার কথা থাকলেও ভোট শেষ হওয়ার সাথে সাথে পরবর্তী সরকার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, নাগাল্যান্ড বিধানসভার মেয়াদ ১২ মার্চ, মেঘালয় বিধানসভার ১৫ মার্চ এবং ত্রিপুরা বিধানসভার ২২ মার্চ শেষ হতে চলেছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় বিজেপির সরকার রয়েছে। যেখানে নাগাল্যান্ডে এনডিপিপির নেফিউ রিও মুখ্যমন্ত্রী। মেঘালয়ে এনপিপির কনরাড সাংমার সরকার রয়েছে। দুই রাজ্যেই ক্ষমতাসীন জোটের অংশ বিজেপি।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত এক্সিট পোল অনুসারে, ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ড আবার গেরুয়া ঝড়ে ভাসতে চলেছে, যার অর্থ বিজেপি এই রাজ্যগুলিতে তাদের সরকার ধরে রাখবে। অন্যদিকে, মেঘালয়ে কোনো একক দল স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে মনে হচ্ছে না। এখানে বিজেপি এবার একাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, কিন্তু ৫৯টি আসনের মধ্যে প্রায় ১০টি আসন পাবে বলে মনে হচ্ছে, যেখানে স্থানীয় দলগুলির কোনওটিই জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি।
মেঘালয়ে এবিপি নিউজের বুথফেরত সমীক্ষা
এবিপি নিউজের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে মেঘালয়ে এনপিপি পেতে চলেছে ২৪টি আসন, সেখানে বিজেপি পেতে পারে ৯টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে আসতে পারে ৪টি আসন। অন্যান্যরা ২২টি আসন পেতে পারে।
নাগাল্যান্ডে এবিপি নিউজের বুথফেরত সমীক্ষা
নাগাল্যান্ডে উঠতে চলেছে বিজেপি ঝড়। এনডিএ জোট ৩৫ থেকে ৪৩টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেস এক থেকে তিনটি আসন পেতে পারে। এনপিএফ পেতে পারে দুই থেকে পাঁচটি আসন। অন্যদিকে অন্যান্যরা ৬ থেকে ১২টি আসন দখল করতে পারে।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের বুথফেরত সমীক্ষা
ত্রিপুরাতে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত। বিজেপি জোট সেখানে পেতে পারে ৩৬ থেকে ৪৫টি আসন। বামেরা পেতে পারে ৬ থেকে ১৫টি আসন। তিপরা মোথার হাতে আসতে পারে ৯ থেকে ১৬টি আসন। অন্যান্যরা খাতা খুলতে পারবে না বলেই
আমরা যদি জেলাভিত্তিক আসনের সংখ্যা দেখি, পশ্চিম ত্রিপুরায় সর্বাধিক ১৪ টি বিধানসভা আসন রয়েছে। ২০১৮ সালে, এই সমস্ত আসন দখল করেছিল বিজেপি এবং জোটের আইপিএফটি। বিজেপি ১৪টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন জিতেছিল, যখন বাকি দুটিতে আইপিএফটি প্রার্থীরা জয়ী হন। সিপিএমের দাপট দেখা যায় সিপাহীজলায়। সিপিএম প্রার্থীরা এখানে নয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জেতে, যেখানে বিজেপি তিনটি এবং আইপিএফটি একটি জিতেছে। গোমতীর সাতটি আসনের মধ্যে পাঁচটি এবং দক্ষিণ ত্রিপুরায় সাতটি আসনের মধ্যে তিনটিতে বিজেপি জিতেছে। ধলাইতেও বিজেপির প্রভাব ছিল। বিজেপি ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি এবং জোটের আইপিএফটি একটিতে জিতেছে। উত্তর ত্রিপুরা, উনাকোটিতে সিপিএম এবং বিজেপি সমান সংখ্যক আসন জিতেছে।