ভারতে বনভূমি সংরক্ষণ নিয়ে আন্দোলন চলছে অনেকদিন ধরে। দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় মধ্যপ্রদেশে জঙ্গলের অবস্থা ভালো। কিন্তু এই রাজ্যেও এবার জঙ্গল ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের ধীরাউলিতে জঙ্গলে কয়লাখনির অনুমতি দেওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা। আদানি গ্রুপের সহায়ক সংস্থা স্ট্র্যাটেক মিনারেল রিসোর্সেস প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাকে কয়লাখনির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখানে ৫৮৬.৩৯ মিলিয়ন টন কয়লা আছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতি বছর মোট ৬.৫ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব। এই অঞ্চল ২,৬৭২ হেক্টরের। ২,৮০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের ফলে বিশাল বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন পরিবেশবিদরা। ঘন জঙ্গলে কীভাবে কয়লাখনির অনুমতি দেওয়া হল, সেই প্রশ্নও উঠছে। আদানি গ্রুপ কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সেই কারণেই জঙ্গল ধ্বংস করে কয়লাখনির অনুমতি দেওয়া হল কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
বিপদে বন্যপ্রাণী-আদিবাসীরা
ধীরাউলি কয়লাখনির কাজ শুরু হলে জঙ্গলে হাতিদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। প্রস্তাবিত কয়লাখনির কাছেই অভয়ারণ্য আছে। এই জঙ্গলে ২,৬০০টিরও বেশি ফুটবল মাঠ ধরে যায়। এরকম বিশাল জঙ্গল ধ্বংস করে কয়লাখনি চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শুধু হাতি বা অন্যান্য প্রাণীই নয়, জঙ্গলের উপর জীবন-জীবিকার জন্য নির্ভর করে থাকা আদিবাসীরাও বিপদে পড়তে চলেছেন। স্থানীয় কৃষকরা জল ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য জঙ্গলের উপর নির্ভরশীল। কয়লাখনি চালু হলে জঙ্গল ও জলাভূমি নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে সবারই বিপদ ঘনিয়ে আসছে।
বন্যপ্রাণ বিপন্ন করে কয়লাখনি হবে?
২০২৩ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তাবিত কয়লাখনির জন্য বেশিরভাগ প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয়। শুধু জঙ্গলের উপর এর প্রভাবের বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিল সরকার। জঙ্গলে কয়লাখনি নিয়ে প্রথম থেকেই পরিবেশবিদদের আপত্তি রয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক কীভাবে এই প্রকল্পের অনুমতি দিল, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Adani-Ambani: আদানি -আম্বানি 'একজোট', ভোটের আগেই চমকে দেওয়ার মত তথ্য প্রকাশ্যে
ডোকলামে চিনা আগ্রাসন? মোদী-আদানি বন্ধত্ব নিয়ে আবারও কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ কংগ্রেসের