নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এখন থেকে প্রতি বছরই ২৪ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন শুরু হবে। তা নজরে রেখেই বাংলার থিমের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘নেতাজি ও আজাদহিন্দ বাহিনী’।
সামনেই দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস(republic Day) ও বাংলার বীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস-এর জন্মবার্ষিকী। আর এই উপলক্ষে কেন্দ্রের তরফে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'(Azadi ka Amrit Mahotsav) পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেক্ষেত্রে বাংলার তরফ থেকে 'নেতাজি ও আজাদ হিন্দ বাহিনী' নামাঙ্কিত থিমের ট্যাবলো পরিক্রমনের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের তরফে বাতিল হওয়ার পর পুনরায় তার অনুমতি দানের অনুরোধ জানিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
পাশাপাশি রবিবার মুর্শিদাবাদের জেলা কংগ্রেস কার্যালয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরবও হন অধীর চৌধুরী। স্বাভাবিকভাবেই এই দুর্ঘটনা রাজনৈতিক দিক দিয়ে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে মর্যাদা দিতে ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ-ও জানা গিয়েছে যে, নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এখন থেকে প্রতি বছরই ২৪ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন শুরু হবে। তা নজরে রেখেই বাংলার থিমের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘নেতাজি ও আজাদহিন্দ বাহিনী’।
আর তা বাতিল হওয়ার পরই রাজ্যজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে অধীর চৌধুরীর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কে চিঠির মাধ্যমে পুনরায় সিদ্ধান্ত বদল এর অনুরোধ জানানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর চিঠিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ বছর ২৬ শে জানুয়ারির ট্যাবলোতে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং নেতাজির জীবনি ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান নিয়ে ট্যাবলো পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমি হতাশ এবং স্তম্ভিত। এই ধরনের পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গের জনগণের প্রতি, বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি অপমান।"
এরপরেই আর্জি জানিয়ে তিনি লিখেছেন, "রাজ্য সরকারের ট্যাবলো সংক্রান্ত এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করছি এবং এই ট্যাবলোকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি"। এদিকে পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়গহস্তে সরব অধীর বলেন,"আসলে কেন্দ্র সরকার নিজের ইচ্ছেমতো স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছে।আর রাজ্য সবকিছু জেনেও মোদির সঙ্গে গোপনে হাাত মিলিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা বজায় বজায় রাখতে সবকিছু সহ্য করছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতাা বন্দ্যোপাধ্যায়"।