Aditya L1-এর সফল উৎক্ষেপ এক ধাপ এগিয়ে দিল দেশের প্রথম সৌর অধ্যায়ন

Published : Sep 02, 2023, 12:53 PM ISTUpdated : Sep 02, 2023, 01:09 PM IST
aditya l 1 successfully starts journey to sun It will take 125 days to reach the destination bsm

সংক্ষিপ্ত

Aditya L1 মিশন হল প্রথম মহাকাশ ভিত্তিক অবজারভেটরি শ্রেণীর ভারতীয় সৌর মিশন যা সূর্যকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ ও অধ্যায়ন করবে 

সূর্য অধ্যয়নের জন্য সফল উৎক্ষেপণ আদিত্য এল ১ (Aditya l1)এর। দেশের প্রথম সূর্য মিশন প্রাথমিক পর্যায়ের সফল। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার এর দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে যাত্রা শুরু করে Aditya L1। এটি সূর্য গবেষণায় সীমানায় অর্থাৎ এক নম্বর ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্টে যেতে সময় নেবে ১২৫ দিন। এটি পৃথিবী থেকে ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখান থেকেই Aditya L1 সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে।

Aditya L1 মিশন হল প্রথম মহাকাশ ভিত্তিক অবজারভেটরি শ্রেণীর ভারতীয় সৌর মিশন যা সূর্যকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ ও অধ্যায়ন করবে। সূর্যের কার্যকলাপ বোধা ও মহারশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হোয়া স্যাটেলাইট, মহাকাশ ভিত্তিক প্রযুক্তি ও মহাকাশচারীদের বিপজ্জনক বিকিরণ থেকে রক্ষা করার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Aditya L1 মিশনটি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব অবজারভেশনাল সায়েন্স , ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্স সহ কয়েকটি ভারতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। মহাকাশযান ও যন্ত্রগুলির সৌর বিকিরণের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ সহ্য করার কথা মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয়েছে।

আদিত্য এল ১ (Aditya L1) পৃথিবী থেকে প্রায় ১০ লক্ষ ৫০ হাজার কিলোমিটার দূরে প্রথম ল্যাগ্রিঞ্জিয়ান পেয়েন্টে যাবে। সেখান থেকেই সূর্য নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর তথ্য অনুসারে সৌর মিশন দ্বারা সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা সূর্যের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়ার আশা করবে। সৌর পদার্থবিদ অধ্যাপক দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুসারে ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট হবে মহাকাশের প্রথম একটি প্ল্যাটফর্ন যেখান থেকে প্রথমবারের মত বৈজ্ঞানিকরা ডেটা প্রবণ করবে।

Lagrange point1 হল যেখানে মহাকর্ষী শক্তি দুটি বস্তুর মধ্যে কাজ করে। একে অপরকে এমনভাবে ভারসাম্য প্রদান করে যাতে মহাকাশযানটি দীর্ঘ সময়ের জন্য একই জায়গায় অবস্থান করতে পারে। বিজ্ঞানীদের কথায় সূর্যকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য L1 বিন্দুটিতে ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান বিন্দুগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এটি আবিষ্কার করেছিলেন গণিতজ্ঞ জোসেফ লুই ল্যাগ্রেঞ্জ। L1 পয়েন্টের চার পারে হ্যালো কক্ষপথে যে উপগ্রহ রয়েছে তা থেকে অনেক সুবিধে পেতে পারে। এখান থেকেই সূর্যকে অবিচ্ছিন্নভাবে দেখা যাবে। গ্রহণ ছাড়াও পর্যবেক্ষ করা যাবে। এটি সৌর ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করার ও রিয়েল টাইমে মহাকাশের আবহাওয়ার উপর তাদের প্রভাবকে আরও বেশি সুবিধে প্রদান করবে। জানিয়েছে ইসরো।

ক্রমবর্ধমান গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রেক্ষাপটি আদিত্য এল ১ অন্যান্য সৌর মিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করবে। ইতিমধ্যেই নাসা এই বিষয়ে গবেষণা শুরু করেছে। পার্কার সোলার প্রোব ও ESA/NASAর সোলান অরবিচার মিশন বিভিন্ন এলাকায় ও একাধিক কোন থেকে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করেছে। পাশাপাশি তথ্য আদানপ্রদান করছে। আদিত্য এল১ ঠিক সেই কাজই করতে পারবে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

Today live News: উত্তুরে হাওয়ায় বঙ্গে শুরু শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং, আর কতটা নামবে পারদ? রইল বিরাট আপডেট
নৈশক্লাবের মালিক দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে জারি লুকআউট নোটিস, বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ গোয়া সরকার