গালওয়ান সংঘর্ষের পর চিনকে চাপে রাখতে সক্রিয় ছিল IAF, চিনের ওপর 'বাজপাখির' মত নজর ভারতীয় বিমান বিহনীর

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় পরিস্থিতি দ্রুত পুনরুদ্ধার করার জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনী সৈন্য আর অস্ত্র সেখানে পৌঁছে দেয়।

 

Saborni Mitra | Published : Aug 13, 2023 5:47 PM IST

২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর চিনের মোকাবিলা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৬৮ হাজার সেনাকে এয়ারলিফ্ট করে পাঠান হয়েছিল। দ্রুততার সঙ্গে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণে রেখায় পাঠান হয়েছিল ৯০টি ট্যাঙ্ক। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংস্থার সূত্রের এমনই তথ্য সামনে এসেছে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরই যুদ্ধবিমানের কটের স্কোয়াড্রম সেখানে স্থাপন করা হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে Su-30 MKI এবং জাগুয়ার যুদ্ধবিমান। ১৫ জুন ২০২০ সালে গালওয়াল দেখেছিল ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

সূত্রের খবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় পরিস্থিতি দ্রুত পুনরুদ্ধার করার জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনী সৈন্য আর অস্ত্র সেখানে পৌঁছে দেয়। এর থেকেই প্রমাণিত হয় ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ারলিফ্ট করার ক্ষমতা আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয় সেই সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী রীতিমত চিনের ওপর নজরদারি চালিয়েছিল। বিমানগুলিকে সেই কাজে ব্যবহার করা করা হয়েছিল। দূরবর্তী পাইলট বিমানও মোতায়েন করা হয়েছিল।

Independence News: জাতীয় পতাকা নিয়ে শ্রীনগরের ডাল-লেকের ধারে বাইক মিছিল CRPF-এর

সূত্রের খবর ২০২০ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনী ৬৮ হাজার সেনার সঙ্গে ৯০টি ট্যাঙ্ক, ৩০০ বেশি বিএমপি পদাতিক যুদ্ধযান, ব়্যাডার সিস্টেম, আর্টিলারি বন্দুক ও প্রচুর পরিমাণে যুদ্ধ সরঞ্জাম ও খাবার ওষুধ দ্রুত পূর্ব লাদাখে পৌঁছে দিয়েছিল।

কাকা-ভাইপোর গোপন বৈঠক ব্যবসায়ীর বাড়িতে, কোন পথে যাচ্ছে পাওয়ার পরিবার - জানালেন দলের প্রধান

সূত্রের খবর IAFএর পরিবহন বহরের মধ্যে ছিল C-130J সুপার হারকিউলিস এবং C-17 Globemaster বিমান অন্তর্ভুক্ত ছিল, ৯ হাজার টন এবং IAF এর ক্রমবর্ধমান কৌশলগত এয়ারলিফ্ট ক্ষমতা প্রদর্শন করে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পূর্ব লাদাখে রাফল, মিহ-২৯ যুদ্ধবিমান সহ একাধিক ফাইটার জেট মোতায়েন করা হয়েছিল। ভারতীয় বিমান বাহিনীর একাধিক হেলিকপ্টার যুদ্ধভূমিতে গোলাবাদুর অস্ত্র, খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছিল। সূত্রের খবর Su-30 MKI এবং জাগুয়ার ফাইটার জেটগুলির নজরদারীর পরিসীমা ছিল প্রায় ৫০ কিলোমিটার ও তারও বেশি। চিনা সেনাদের অবস্থান, গতিবিধি সম্পর্কে তাদের পর্যবেক্ষণ ছিল অবিরত। আর তা যে সঠিক ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

টার্গেট লোকসভা ভোট, সংগঠন মজবুত করতে বিজেপি কর্মীদের একাধিক টিপস জেপি নাড্ডার

IAFএর ইনস্টল করা ব়্যাডার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে প্রভূত সাহায্য করেছে। সেই সময় IAF অত্য়ান্ত কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে কাজ করেছিল। এখনও ৫০-৬০ হাজার ভারতীয় সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা বরাবর অবস্থান করছে। গালওয়ান যুদ্ধের পর থেকে ভারত আর চিনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। দুই দেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কথাবার্তা চালাচ্ছে। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

Share this article
click me!