আগামী ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় নির্বাচনে লড়বে আদ আদমি পার্টি। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে জেলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানাল আম আদমি পার্টির জেলা নেতৃত্ব।
পঞ্জাবের পর এবার আম আদমি পার্টির প্রধান লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। দিল্লীর পর পঞ্জাবও আম আদমি পার্টির দখলে এসে গিয়েছে। এছাড়াও গোয়াতেও নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। তাই এবার লক্ষ্য বাংলা। আগামী ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় নির্বাচনে লড়বে আদ আদমি পার্টি। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে জেলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানাল আম আদমি পার্টির জেলা নেতৃত্ব।
পঞ্জাব, গোয়া ও পশ্চিমবঙ্গ ফুটবল খেলার জন্য পরিচিত। বাংলা বাদে দুটি রাজ্যে নিজের আধিপত্য স্থাপন করেছে আপ। এবার বাংলাতেও লড়তে ময়দানে নেমে পড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জেলা কমিটি গঠন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সদস্যপদ গ্রহণের জন্য পোস্টার এবং নানা ধরনের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। তাই আগামী পঞ্চায়েতে আম আদমি পার্টির সদস্যরা লড়াই করবে বলে জানিয়েছেন।
আগামী ২৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই মূলত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মাঠে নামছে আম আদমি পার্টি বলে জানান আপের জেলা ইনচার্জ মৃত্যুঞ্জয় বসাক। এছাড়াও পঞ্জাবে অভাবনীয় ফল ও গোয়াতে নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করার খুশি আম আদমি পার্টির সদস্যরা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে পঞ্জাব ও গোয়াবাসীকে।
এবিষয়ে আপের জেলা ইনচার্জ মৃত্যুঞ্জয় বসাক বলেন, এবার পঞ্জাবেও আপ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। পশ্চিমবঙ্গে আপই একমাত্র বিকল্প পার্টি। তাই আগামীতে এই রাজ্যেও আপ সরকার আসবে। আমরা পঞ্চায়েতে লড়াই করব। এদিকে, পঞ্জাবে যেভাবে ঝোড়ো ব্যাটিং করল আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party), তা অবাক করেছে সবাইকে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আম আদমি পার্টি খুব ধীর গতিতে বিজেপির জাতীয় রাজনৈতিক বিকল্প হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। পঞ্জাব হোক বা গোয়া, আপ তার দিল্লি পরিচয়ের ছাঁচ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য লড়াই করছিল, অনেকটা ডিএমকে বা এআইএডিএমকে যেমন তামিলনাড়ু বা তেলেগু দেশম পার্টি অন্ধ্রপ্রদেশে সীমাবদ্ধ রয়েছে, তাদের মতো। তবে এই দলগুলির থেকে এগিয়ে গেল আপ।
এমন অনেকগুলি কারণ রয়েছে যা আপের উত্থানে অনুঘটকের কাজ করেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদল এবং নভজোত সিধুর মতো রাজনৈতিক পোড় খাওয়া ব্যক্তিত্ব আপ প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন। সম্ভবত দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের এমন পরাজয় ঘটল। ৯০-এর দশকে, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে শিরোমণি আকালি দল (পন্থিক) টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় মোট ৮৫৬ ভোটে তার জমা পোলিং হারিয়েছিলেন। স্পষ্টতই, ৮০ বছর বয়সে এই হার, তাঁর জীবনের শেষ প্রতিন্দ্বতিতা হতে পারে।