তবে কি এবার চিড় ধরল দিল্লির কৃষক বিক্ষোভে, আন্দোলন প্রত্যাহার দুটি সংগঠনের

  • দুটি সংগঠন আন্দোলন প্রত্যাহার করল 
  • ২৬ জানুয়ারির হিংসাকে সামনে রেখে আন্দোলন প্রত্যাহার 
  • একটি সংগঠন দায় চাপাল অন্যের ওপর 
  • কৃষকদের লড়াই জারি থাকবে 

Asianet News Bangla | Published : Jan 27, 2021 1:05 PM IST / Updated: Jan 27 2021, 07:38 PM IST

নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আন্দোলনকারী অন্নদাতারা। কিন্তু সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে ট্র্যাক্টর ব়্যালি থেকে দিল্লি জুড়ে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে তারপরই কিছুটা অন্য সুর আন্দোলনকারী কৃষকদের কণ্ঠে। বুধবার আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে অন ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কোওর্ডিনেশন কমিটি বা এআইকেএসিসি (AIKSCC) এবং রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন বা ভানু (BKU)। দুটি কৃষক সংগঠনই জানিয়েছে সাধারণতন্ত্র দিসবের নয়া দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে হিংসা ছড়িয়েছিল তা অত্যান্ত নিন্দনীয়। পাশাপাশি সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এভাবে কোনও প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়া যায় না। 

এআইকেএসসিসির পক্ষ থেকে থেনে সমন্বয় কমিটির নেতা ভিএম সিং বলেছেন, তাঁর সংগঠন তাৎক্ষণিক প্রভাব নিয়ে কৃষক বিক্ষোভ থেকে সরে এসেছে। প্রতিবাদের ধারাটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলেও দাবি করা হয়েছে। গাজিপুর সীমানায় আন্দোনলকারী ধর্না মঞ্চে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও বলেছেন, তাঁরা তাঁদের আন্দোলন বন্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু কৃষকদের অধিকারের লড়াই অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেছেন, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাজেশ টিকাইতের নেতৃত্বের সঙ্গে সংঘর্ষের কোনও যোগসূত্র নেই। কিন্তু তাঁর নামও এফআইআর-এ দেওয়া হয়েছে। তাঁর নামে খুনের চেষ্টা ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন বিক্ষোভের নেতৃত্ব নিয়ে তাঁর আর কিছু করার নেই। এখন বিক্ষোভের নেতৃত্ব রয়েছে রাজেশ টিকাইতের হাতে। তিনি আরও বলেন আন্দোলনে থেকে কারও নির্দেশ অমান্য করা সম্ভব নয়। আর সেই কারণেই তাঁর দল আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি নিশানা বানিয়েছে রাজেশ টিকাইতকে। তিনি বলেন, রাজেশ টিকাইত কখনই আঁখ চাষিদের সমস্যা নিয়ে কোনও মন্তব্য করে না। সরকারের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি তাদের সমস্যা নিয়ে কোনও রকম আলোচনা করেননি। একই সঙ্গে সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে দিল্লির ঘটনা নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছ। 

এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই চিল্লা বর্ডারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা ঠাকুর ভানু প্রতাপ সিং। তিনি বলেন দিল্লির হিংসার জন্য তিনি ব্যথিত। আর সেই কারণেই এই আন্দোলন থেকে তিনি সরে আসছেন। তিনি আরও বলেন, দিল্লির ঘটনার পরই ৫৮ দিনের বিক্ষোভে তাঁরা ইতি টানছেন। 

Share this article
click me!