সংসদে উত্তাপ বাড়বে শীতকালীন অধিবেশনে, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে আলোচনার দাবি সর্বদলীয় বৈঠকে

Published : Dec 06, 2022, 04:44 PM IST
all party meet

সংক্ষিপ্ত

সর্বদলীয় বৈঠকে ৩০ টিরও বেশি দলের নেতারা অংশ গ্রহণ করেছিলেন। রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী উপস্থিত ছিলেন।

শীতকালীন অধিবেশনের সুর চড়া হতে পারে। তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল সংসদের অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠকে। কারণ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ও চিন-ভারত সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। পাল্টা শাসকদল বা কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিয়েছে নিয়ম ও আইন অনুসারে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার অনুমতি দেওয়া হবে।

সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেডি নারী সংরক্ষণ বিলটি পাশ করার দাবি জানায় পাল্টা শিবসেনার শিন্ডে পক্ষ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে আলোচনা চেয়েছে। এদিনের বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা লোকসভার উপনেতা রাজনাথ সিং। তিনি শীতকালীন অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য সবকটি রাজনিতক দলের কাছে সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়েছেন।

সর্বদলীয় বৈঠকে ৩০ টিরও বেশি দলের নেতারা অংশ গ্রহণ করেছিলেন। রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সময় জোশী বিলগুলি পাশের জন্য বিরোধীদের সহযোগিতা প্রার্থনা করেন পাশাপাশি সরকারি এজেন্ডাগুলিকে তালিকাভুক্ত করেন। পাল্টা এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে অধীর চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়ে দেয় কংগ্রেস মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ও সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে চায়। তিনি আরও বলেন সংসদে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যার বিষয় নিয়ে তারা আলোচনায় আগ্রহী। কংগ্রেস নেতা নাসির হুসেন জানান, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের সংরক্ষণের বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করতে চান।

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তারাও মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে আলোচনা করতে চান। কেন্দ্রীয় সংস্থার ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি রাজ্যগুলির জন্য আর্থিক অবরোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান তাঁরা। তাঁর সহকর্মী ডেরেক ওব্রায়েন বলেছেন, বিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সংসদে উপস্থান করতে দেওয়া উচিত। না হলেই গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো নষ্ট হবে। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়েছে আপ আর এনসিপি।

বর্তমান সংসদ ভবনে শীতকালীন অধিবেশনই শেষ অধিবেশন হতে পারে। কারণ পরের অধিবেশন হবে নতুন সংসদ ভবনে। এই অধিবেশনে কংগ্রেস-দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির দুর্বলতা, আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির অবস্থা, সংরক্ষণ-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে। জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, 'গত ২২ মাস ধরে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। এই বিষয় এখনও পর্যন্ত সংসদে কোনও আলোচনা হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে তায় কংগ্রেস।' মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফিতী, টাকার দাম পড়ে যাওয়া - এই বিষয়গুলি নিয়ে এবার সংসদে আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি পণ্য ও পরিষেবা কর নিয়ে আলোচনার দরকার।

 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি