ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য স্বয়ংক্রিয় বিমান প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণের উন্নয়নে কাজ করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে আকাশ তীর, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উচ্চ পর্যায়ের করতে ভারত সরকার দেশীয় কোম্পানিগুলোর প্রচার করছে। ইতিমধ্যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক খোদ গাজিয়াবাদের ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের (বিইএল) সাথে চুক্তি করেছে। এতে সম্মত হয়েছে যে BEL ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করবে, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আকাশে শত্রুর চালকে ধ্বংস করতে সাহায্য করবে। তথ্য অনুযায়ী, এর জন্য বিইএলকে দেওয়া হবে ১৯৮২ কোটি টাকা।
রিপোর্ট অনুসারে, এই চুক্তির উদ্দেশ্য হল যে BEL ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য স্বয়ংক্রিয় বিমান প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণের উন্নয়নে কাজ করবে প্রতিরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে আকাশ তীর, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিন শক্তি একসঙ্গে কাজ করবে
খবরে বলা হয়েছে, আকাশতীর প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় সেনা ও বিমান বাহিনী একটি নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড কেন্দ্রে পরিণত হবে। এর ফলে আকাশতীর প্রকল্পের ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে চলতে পারবে। এ কারণেই এটিকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সমন্বিত ভবিষ্যত বলে মনে করা হয়। এর বিশেষ বিষয় হল তিনটি বাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে এবং একসঙ্গে শত্রুকে আক্রমণ করতে পারবে।
প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করবে
এই প্রযুক্তি সম্পর্কে কথা বললে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর রাডারগুলিকে মাটিতে মোতায়েন করা হবে এবং আকাশতীর প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র তাদের সাথে সংযুক্ত করা হবে। ব্যাখ্যা করুন যে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্যাটেলাইট এবং AVOX থেকে রিপোর্ট পেতে থাকবে।
এই কারণে, সিস্টেমটি শত্রুর লক্ষ্যবস্তু, ক্ষেপণাস্ত্র, জেট ইত্যাদি দেখার সাথে সাথে এটির সাথে একটি সতর্কতা জারি করবে। এর পরপরই এসএএম ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিমানবাহিনী সক্রিয় হবে। এর পরে বিমানবাহিনীর বিমানগুলি ফাইটার জেটকে তাড়াতে উড়বে।
এই প্রকল্পের সুবিধা কী হবে
নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবস্থার সুবিধার কথা বললে আকাশতীর, আইএসিসিএস ও ত্রিগুনা প্রকল্পের পর উপকৃত হবে কোস্টগার্ড, কাস্টমস, গোয়েন্দা সংস্থা, বন্দর কর্তৃপক্ষসহ অনেক প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া স্থলভাগে নজরদারি নেটওয়ার্ক রাডার, মহাকাশ ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা, জাহাজ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার মাধ্যমে এর সীমানা সহজেই পর্যবেক্ষণ করা যায়।
অন্যান্য সুবিধার কথা বললে, তিন বাহিনীর মধ্যে একটি নিরাপদ যোগাযোগ লাইন তৈরি করা হবে। যেকোনো মিশন বা অপারেশনের সময় সমন্বয় অনেক সহজ হয়ে যাবে। তিন বাহিনীই একযোগে শত্রুর পরিচয়, আগমনের সময়, গতি ইত্যাদি তথ্য পাবে।
তথ্য অনুযায়ী, বিমান বাহিনী তার ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (আইএসিসিএস) ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রকল্প আকাশতীরের সাথে সংযুক্ত করবে এবং সীমান্ত পর্যবেক্ষণ করা সহজ হবে। এটি আকাশ থেকে ভূমিতে এবং স্থল থেকে আকাশে আক্রমণ করতে সক্ষম হবে। তখন বিমান বাহিনীর ফাইটার জেট শত্রুর দিকে দ্রুত আক্রমণ করবে এবং শত্রুকে আকাশেই ধ্বংস করবে।