সেক্রেটারি অফ স্টেট টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে এই পদক্ষেপের ফলে, মার্কিন এক্তিয়ারের আওতাধীন সব জঙ্গির সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার ওপর সমস্ত মার্কিন নাগরিকদের ভুলক্রমে হলেও তাদের সাথে কোন লেনদেনে জড়িত থাকতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আবারো বড়সড় হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেক্রেটারি অফ স্টেট টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আল কায়েদা এবং পাকিস্তানি তালেবান গ্রুপের চার সদস্যকে গ্লোবাল টেররিস্ট বা আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসাবে মনোনীত করেছে। ব্লিঙ্কেন আরও বলেছেন যে এই পদক্ষেপটি নেওয়ার মূল কারণ আফগানিস্তানে কোনও জঙ্গি যাতে পা রাখতে না পারে তা নিশ্চিত করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে সমস্ত প্রাসঙ্গিক উপায় ব্যবহার করতে থাকবে বলে জানিয়েছেন সেক্রেটারি অফ স্টেট টনি ব্লিঙ্কেন।
জঙ্গিদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে
সেক্রেটারি অফ স্টেট টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে এই পদক্ষেপের ফলে, মার্কিন এক্তিয়ারের আওতাধীন সব জঙ্গির সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার ওপর সমস্ত মার্কিন নাগরিকদের ভুলক্রমে হলেও তাদের সাথে কোন লেনদেনে জড়িত থাকতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কোন কোন জঙ্গিকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা
বৃহস্পতিবার এই তালিকায় যোগ করা জঙ্গিরা হল ভারতীয় উপমহাদেশের আল-কায়েদা (একিউআইএস)-এর সদস্য আমির ওসামা মাহমুদ, আমির আতিফ ইয়াহিয়া ঘৌরি এবং মুহাম্মদ মারুফ, এরা প্রত্যেকেই এই সংগঠনে আরও লোক নিয়োগের জন্য দায়ী। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ক্বারি আমজাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, আমজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নাশকতামূলক কাজে জড়িত।
সন্ত্রাস নির্মূল করার প্রচেষ্টা
জঙ্গিরা যাতে আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার না করে তা নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আল কায়েদা সহ আফগানিস্তানে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির হুমকি মোকাবেলায় তার সন্ত্রাসবিরোধী সরঞ্জামগুলির সম্পূর্ণ সেট মোতায়েন করছে।
উদ্দেশ্য একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত আল কায়েদা হল একটি ইসলামিক চরমপন্থী সংগঠন যার লক্ষ্য একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, মায়ানমার এবং বাংলাদেশের সরকারের সাথে লড়াই করা। টিটিপি, সাধারণত পাকিস্তানি তালেবান নামে পরিচিত, আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে কর্মরত বিভিন্ন ইসলামি সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণের সাথে জড়িত।
উল্লেখ্য পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে ভারত। অক্টোবর মাসে ভারতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির বৈঠকে সেই বার্তাই তুলে ধরা হয়। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত রুচিরা কাম্বোজ বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে কোনো দ্বৈত ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত নয়। সন্ত্রাসে ভালো বা খারাপ কোনো জঙ্গি নেই। কেউ কেউ ভালো-মন্দ করে সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে নিয়োজিত। কাম্বোজ চিন ও পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলেন। সন্ত্রাসীদেরকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী ঘোষণা করতে ভারতের প্রস্তাবে চারবার বাধা দিয়েছে চিন।