ভারতীয় সেনা-জওয়ানদের নিয়ে দেশের জনগণের আলাদা একটা আবেগ কাজ করে। সেই আবেগ এতটাই শক্তিশালী নিমেষের মধ্যেই ভারতের সমস্ত নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ করে তুলতে পারে। কিন্তু সেই সেনা-জওয়ানদের দিনের পর দিন দেশকে বা দেশের নাগরিককে রক্ষার তাগিদে পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে আধা সামরিক বাহিনীর সেনারা মাঝে মাঝেই তাঁদের বঞ্চনার কথা প্রকাশ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবার সেই বঞ্চনা কিছুটা হলেও দূর করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সিআরপিএফ, বিএসএফের মতো প্রায় সাত লক্ষ জওয়ান যাতে বছরে ১০০টা দিন বাড়িতে থাকতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সেন্ট্রাল আর্ম পুলিশ ফোর্সের অধীনে প্রায় সাত লক্ষ জওয়ান রয়েছেন। গত মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে এই সাত লক্ষ জওয়ানের সুবিধ, অসুবিধা, অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। এরপরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সেন্ট্রাল আর্ম পুলিশ ফোর্সকে ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। জওয়ানের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সমস্ত আলোচনার পর বিএসএফ, সিআরপিএফ, অসম রাইফেলসের জওয়ানরা যাতে বছরে ১০০ দিন পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারেন, সেই বিষয়ে পরিকল্পনা নেন। এই বিষয়ে তিনি সিআরপিএফ, বিএসএফ, সিআইএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি ও অসম রাইফেলসের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই জওয়ানদের প্রশিক্ষণ ও তাঁদের বিভিন্ন পোস্টিং নিয়ে আলোচনা করা হবে। জানা গিয়েছে, কোনও অভিযান বা জরুরি প্রয়োজনে কোনও কাজ না পড়লে এই জওয়ানরা যাতে বাড়ির কাছে নিজেদের কার্যভার নিতে পারে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। যার বলে জওয়ানরা বাড়ি থেকেই নিজেদের কর্মস্থলে যেতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই পরিকল্পনার জেরে যাতে সিআরপিএফের কোনও পরিষেবা ব্যাহত না হয়, তা নজর দিতে হবে। সেই দিকে নজর রেখে একটি রিপোর্ট বিভিন্ন বিভাগের প্রধানের কাছে চেয়েছেন অমিত শাহ। জওয়ানদের বার বার স্থান পরিবর্তন করার জন্য পরিবারের সঙ্গে না থাকার একটা আক্ষেপ রয়েছে। সেই আক্ষেপ জওয়ানদের পরিবারের সদস্যদেরও রয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হলে, সেই আক্ষেপ অনেকটাই দূর হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।