উত্তপ্ত দিল্লি শান্ত করতে শাহ-কেজরির বৈঠক, প্রয়োজনে রাজধানীতে নামবে সেনা

Published : Feb 25, 2020, 02:55 PM ISTUpdated : Feb 25, 2020, 03:00 PM IST
উত্তপ্ত দিল্লি শান্ত করতে শাহ-কেজরির বৈঠক, প্রয়োজনে রাজধানীতে নামবে সেনা

সংক্ষিপ্ত

উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গা পরিস্থিতি সামলাতে সোমবার গভীরর রাতে বৈঠক অমিত শাহের মঙ্গলবার ফের বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে এবার বৈঠক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট দু'দিনের সফরে ভারতে এসেছেন। মঙ্গলবার রাজধানীতে ঠাসা কর্মসূচী তার। এদিকে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ফের উত্তাল হয়েছে দিল্লি। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পুলিশের এক কনস্টেবল সহ ৭ জনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রয়েছে মেট্রো স্টেশন। তারপরেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি রাজধানীর পরিস্থিতি। মঙ্গলবার সকালে মৌজপুর ও ব্রহ্মপুরীতে নতুন করে উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সোমবার গভীর রাতেই বৈঠকে বসতে হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। 

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সফরের দ্বিতীয় দিনেও থমথমে দিল্লি, নতুন করে উত্তেজনা মৌজপুর ও ব্রহ্মপুরীতে

 

দিল্লির পরিস্থিতি নেয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেইমত এদিন দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল ও দিল্লি পুলিশের কমিশনার অমূল্য পট্টনায়কও। হিংসা রুখতে এবার রাজধানীতে সেনা নামতে পারে বলে বৈঠকে বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বাধা কাটিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি উহানের পথে বায়ুসেনার বিমান, চিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২,৬০০

বৈঠক শেষে বেরিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, কোনও রাজনীতি এই বিষয়ে হবে না। সকলে একসঙ্গে মিলে পরিস্থিত সামাল দেওয়া হবে। কেজরি বলেন, " সকলেই চান হিংসা বন্ধ হোক। সে জন্যই বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক ভালই হয়েছে। শহরে শান্তি ফেরাতে সব রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে কাজ করবে। প্রয়োজনে সেনাও নামানো হতে পারে।"

 

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন সব দলের প্রতিনিধিরাই। বিজেপির তরফে হাজির হয়েছিলেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি ও রামবীর সিংহ বিধুরী। কংগ্রেসের তরফে এসেছিলেন সুভাষ চোপড়া। 

 

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে এদিন দলের বিধায়ক ও আধিকারিকদের নিয়েও বৈঠক করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে বাইরে থেকে লোক এসে অশান্তি পাকাচ্ছে বলে এর আগে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন কেজরিওয়াল। কিছুদিনের জন্য দিল্লির সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

PREV
click me!

Recommended Stories

এনডিএ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কেন সম্মান? শীতকালীন অধিবেশনের ৭ম দিনে কী হবে?
8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশনে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য? কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা খুঁজছে উত্তর