ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হচ্ছে কোভিড-দুঃস্বপ্ন, মহামারি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বড় আশ্বাস কেন্দ্রের

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হবে দুঃস্বপ্ন। ভারতে নিয়ন্ত্রণে আসবে কোভিড মহামারি। এমনটাই জানালো কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের এক একটি প্যানেল। করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আর কী কী ভবিষ্যতবাণী করলেন তাঁরা?

 

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের মধ্যেই ভারতে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কোভিড মহামারি। তবে নাগরিক সমস্ত প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে এবং সরকারে পক্ষ থেকেও আর কোনও অর্থনৈতিক কার্যক্রম শিথিল করা যাবে না। রবিবার কোভিড সংক্রমণের গাণিতিক ও পরিসংখ্যানগত পূর্বাভাসের ভিত্তিতে এমনটাই দাবি করলেন ভারতের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের একটি প্যানেল। তাঁদের দাবি করেছেন, সেপ্টেম্বর মাসেই করোনাভাইরাস মহামারীর চূড়া পার করে গিয়েছে ভারত। এখন সেই শীর্ষ থেকে নামার পথে রয়েছে কোভিড রেখচিত্র।

গত মে মাসে এই প্যানেল গঠন করেছিল ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রস্তুতি এবং অন্যান্য কী কী ব্যবস্থার মাধ্যমে সংক্রমণ প্রশমন করা যায় সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তার জন্যই এই প্য়ানেল তৈরি করা হয়েছিল। তারপর থেকে এই প্যানেল একেবারে 'রিয়েল-টাইম ডেটাসেট' অর্থাৎ বাস্তব সময়ের তথ্যাবলী ব্যবহার করে সংক্রমণের আগাম পূর্বাভাস, মহামারির উপর লকডাউন ও মাইগ্রেশনের প্রভাব, আনলক প্রক্রিয়ার ভূমিকা বিচার করে একটি সংক্রমণের মডেল তৈরি করেছে।

Latest Videos

সেই মডেল অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের মাসেই শীর্ষ ছুঁয়েছিল করোনা মহামারি। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের দহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এই বিপুল পরিমাণ মানুষ ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে আইসিএমআর, জাতীয় সেরো-সমীক্ষার মাধ্যমে যে সংক্রমণের পূর্বাভাস দিয়েছিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ভবিষ্যদ্বাণীতে সেই সংখ্যা কিন্তু প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।

এছাড়া, এই প্যানেলের আরও অনুমান, সব মিলিয়ে ভারতে ১০৬ লক্ষ উপসর্গযুক্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যাবে। বর্তমানে ভারতে আনুমানিক ৬৬ লক্ষ কোভিড রোগী উপসর্গযুক্ত বলে জানিয়েছে প্যানেল। তবে এখন কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমে কমছে, কেন মে-জুনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ফলে কোভিড সংক্রমণের তীব্র বৃদ্ধি ঘটেনি - এইরকম বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি এই প্যানেলের তৈরি সংক্রমণ মডেল।

দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে কোভিডকে পুরোপুরি রুখে না দেওয়া গেলেও এর ফলে সংক্রমণের শীর্ষে ওঠা অনেকটাই পিছিয়ে দেওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে এই সরকারি প্যানেল। তাঁদের দাবি, লকডাউন না জারি করা হলে জুন মাসে ভারতে করোনা রোগীর যে সংখ্যা ছিল, তার ১৪ গুণ বেশি রোগী হতে পারত। তার বদলে সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছেছে সেপ্টেম্বর মাসে। এরফলে এই সময়ে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা গিয়েছে। ফলে মহামারিটি আরও ভালোভাবে পরিচালনা করা গিয়েছে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

বাংলাদেশে এবার খ্রিষ্টানদের বড়দিনের অনুষ্ঠানে হামলা, দেখুন এই ইস্যতে কী বললেন Suvendu Adhikari
Narendra Modi : বড়দিনের অনুষ্ঠানে মাতলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সকলকে জানালেন শুভেচ্ছা
২৬-এ Mamata Banerjee-কে বিদায়! মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানানোর শপথ Suvendu Adhikari-র
Suvendu Adhikari Live : শতবর্ষে অটল বিহারী বাজপেয়ী, শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন শুভেন্দু অধিকারীর
Daily Horoscope: ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এই ব্যক্তিদের দিনটি ভালো যাবে, জেনে নিন আজকের রাশিফল