অযোধ্যায় রাম লালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে অযোধ্যা রেল স্টেশন পরিদর্শন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অযোধ্যা রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ভক্তদের জন্য আরও সুখবর। ট্রেনে করেই এবার থেকে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা নগরিতে। ভারতীয় রেল অযোধ্যা রাম মন্দির দর্শনের কথা মাথায় রেখেই ভক্ত ও দর্শক বা পর্যটকদের জন্য ট্রেন চালাচ্ছে। যদিও আগে থেকেই অযোধ্যায় রেল স্টেশন ছিল। কিন্তু বর্তমানে যাত্রীর চাপ সামলে ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই অযোধ্যা রেল স্টেশনকে বিশেষ করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
অযোধ্যা রেল স্টেশন
সূত্রের খবর অযোধ্যায় রাম লালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে অযোধ্যা রেল স্টেশন পরিদর্শন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে থাকবেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান জয়া ভার্মা সিনহা এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ৩০ ডিসেম্বর মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রী রাম বিমানবন্দরের সাথে রেলস্টেশন ভবনের উদ্বোধন করতে পারেন। সেই কারণে অযোধ্যা রেল স্টেশন নির্মাণের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অযোধ্যা রেলপথ
বর্তমানে অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশনে চলমান কাজের জন্য যাত্রীদের একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্লাটফর্ম নির্মাণের পাশাপাশি রেলপথ দ্বিগুণ করাসহ অন্যান্য কাজ চলছে। এই কারণে, বেশিরভাগ ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে বা বাতিল করা হয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রুট ডাইভারশান কার্যকর থাকবে। মনে করা হচ্ছে তারপরই পুরোপুরি চালু করা হবে স্টেশন।
ট্রেন চলাচল
রামমন্দির প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আগে রেলওয়ে স্পেশাল ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশনের ভবন ও প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের কাজ অসম্পূর্ণ। এই অবস্থায় ট্রেন চলাচল করলে যাত্রীরা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন। তথ্য অনুযায়ী, দেশের বড় শহর যেমন মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, আহমেদাবাদ, চেন্নাই, নাগপুর, পুনে থেকে অযোধ্যায় বিশেষ ট্রেন চালানো যেতে পারে। অযোধ্যা রেলস্টেশনে যাত্রীদের চাপ কমাতে অযোধ্যা ক্যান্ট ও দর্শননগর রেলস্টেশনে ট্রেন থামানো যেতে পারে।
অত্যাধুনিক অযোধ্যা রেল স্টেশন
৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যা রেলস্টেশন। রামমন্দির মডেলের আদলে তৈরি রেলস্টেশনটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ফুড প্লাজা, চাইল্ড কেয়ার, ফুট ওভারব্রিজ, লিফট, এসকেলেটর, পানীয় জলের বুথ, মেডিকেল বুথ, বড় পার্কিং ছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি র্যাম্প এবং কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। গেটটি গোলাপী পাথর দিয়ে তৈরি।